

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ফিলিস্তিনের গাজা উপকূলে ত্রাণ পৌঁছানোর উদ্দেশ্যে যাত্রা করা ‘গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা’ নৌবহরে ইসরায়েলি হামলার ঘটনায় তুরস্ক তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
একই সঙ্গে আঙ্কারা আটক থাকা স্বেচ্ছাসেবক এবং নৌযানের নিরাপদ মুক্তির দাবি জানিয়েছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক জলসীমায় বেসামরিক জাহাজের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া নিরীহ নাগরিকদের জীবন বিপন্ন করেছে। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, “সহিংসতার আশ্রয় না নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করা বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে এই হামলা প্রমাণ করে, নেতানিয়াহুর সরকার বাস্তবায়িত ফ্যাসিবাদী ও সামরিক নীতি শুধু ফিলিস্তিনিদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়।”
তুরস্ক আরও বলেছে, ইসরাইলি বাহিনীর নৌবহরে বাধা এবং স্বেচ্ছাসেবক আটক প্রমাণ করছে, ইসরাইলের নীতি শুধু ফিলিস্তিনি নাগরিক নয়, নিপীড়নের বিরুদ্ধে সংগ্রামকারী প্রত্যেককেই লক্ষ্য করছে।
এছাড়া আটক তুর্কি নাগরিকদের মুক্তি নিশ্চিত করতে সব প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানিয়েছেন আঙ্কারা। তারা হামলার দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা সমুদ্রপথে গাজায় ত্রাণ পৌঁছে দেওয়ার একটি বৈশ্বিক প্রচেষ্টা। নৌবহরে রয়েছে ৪০টির বেশি বেসামরিক জাহাজ, যেখানে প্রায় ৪৪টি দেশের ৫০০ মানুষের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, ফ্রান্স, বেলজিয়ামসহ ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচিত প্রতিনিধি, আইনজীবী, অধিকারকর্মী, চিকিৎসক ও সাংবাদিক রয়েছেন।
ফ্লোটিলার প্রথম বহর ৩১ আগস্ট স্পেনের বার্সেলোনা থেকে যাত্রা শুরু করে। এরপর ১৩-১৫ সেপ্টেম্বর তিউনিসিয়া ও ইতালির সিসিলি দ্বীপ থেকে আরও নৌযান বহরে যুক্ত হয়। পরবর্তীতে গ্রিসের সাইরাস দ্বীপ থেকেও কিছু নৌযান ত্রাণ নিয়ে বহরে যোগ দেয়। বর্তমানে বহরে ৪০টির বেশি নৌযান রয়েছে।
ইসরাইল দাবি করে, এই নৌবহরের ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাসের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে, তবে তারা এ দাবি প্রমাণ করতে পারেনি। যাত্রাপথে কোনো বাধা না থাকলে নৌবহরটি স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে গাজায় পৌঁছানোর কথা ছিল।
মন্তব্য করুন
