

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের উত্তরপ্রদেশে একটি হৃদয়বিদারক হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রয়াগরাজ জেলার কান্টি গ্রামের ১৫ বছর বয়সী একটি কিশোরীকে তার বাবা-মা ‘সম্মান রক্ষা’ বলে হত্যা করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মৃত কিশোরীর নাম সারিতা। গত ৫ নভেম্বর রাতে তাকে হত্যা করা হয়। পরদিন সকালে গ্রামের লোকেরা ঝোপের মধ্যে তার মরদেহ দেখে পুলিশকে জানায়।
প্রয়াগরাজের ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (ডিসিপি) বিবেক যাদব বলেন, এটি স্পষ্টভাবে ‘সম্মানরক্ষায় হত্যা’।
প্রাথমিকভাবে বাবার নাম রমেশ পুলিশকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু পরে স্বীকার করেছেন, মেয়েটিকে তিনি নিজেই হত্যা করেছেন।
রমেশ জানিয়েছেন, তার মেয়ে গ্রামের কয়েকজন ছেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত, যা তিনি মেনে নিতে পারেননি।
পুলিশ জানিয়েছে, সারিতার মা তাকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে অচেতন করেছিলেন। এরপর বাবা-মা মিলে তাকে বাড়ি থেকে ৭০–৮০ মিটার দূরের ঝোপের মধ্যে নিয়ে গিয়ে রমেশ ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। হত্যার অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
ডিসিপি বিবেক যাদব বলেন, মেয়ের স্বাধীন যোগাযোগের কারণে ‘পারিবারিক লজ্জা’ অনুভব করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন
