

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


তামিলনাড়ুর করুরে পদপিষ্টের ঘটনাকে দুর্ঘটনা হিসেবে দেখছেন বিজয়। এর নেপথ্যে কোনও ‘ষড়যন্ত্র’ রয়েছে বলে মনে করেন তিনি। অভিনেতা থালাপতি বিজয় এমনই অভিযোগ তুলে মাদ্রাজ হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে।
তাঁর দল টিভিকে-র তরফে অভিযোগ তোলা হয়েছে, করুরের ঘটনা কোনও দুর্ঘটনা নয়, ষড়যন্ত্রের ফল। সভায় পাথর ছোড়া এবং পুলিশের লাঠিচার্জকেও এর জন্য দায়ী করেছে টিভিকে।
এই পদপিষ্টের ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শীদের বেশ কিছু বয়ান উঠে আসছে। এক প্রত্যক্ষদর্শীর দাবি, ভি সেন্থিলবালাজিকে যখন ‘১০ টাকার মন্ত্রী’ বলে কটাক্ষ করে গান ধরেছিলেন বিজয়, সেই সময় বিপুল উচ্ছ্বাস এবং আলোড়ন সৃষ্টি হয় সমাবেশে। তার পরই হঠাৎ পুলিশ লাঠিচার্জ করতে শুরু করে।
তখন লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়ে যায়। সকলে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে থাকেন। অনেকেই তাঁদের ছোট ছোট সন্তানদের নিয়ে বিজয়ের সভায় গিয়েছিলেন। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হতেই অনেকের হাত থেকে ছিটকে যায় তাঁদের সন্তানেরা। ফলে অনেক শিশু পদপিষ্ট হয়।
যদিও পুলিশ দুর্ঘটনায় দায় টিভিকে-র দিকেই ঠেলেছে। রাজ্য পুলিশের ডিজি জি বেঙ্কটরমন জানিয়েছেন, নির্ধারিত সময়ের ৭ ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছেছিলেন বিজয়। ফলে ভিড় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গিয়েছিল।
তিনি আরও জানিয়েছেন, উদ্যোক্তারা জানিয়েছিলেন, ১০ হাজারের মতো মানুষের জমায়েত হতে পারে। কিন্তু সেখানে ২৭ হাজার মানুষ হাজির হন। নিরাপত্তা এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য মোতায়েন ছিল ৫০০ পুলিশ।
টিভিকে তাদের এক্স হ্যান্ডলে হঠাৎ করে ঘোষণা করে, দুপুর ১২টায় প্রচারসভায় আসছেন বিজয়। ফলে আরও ভিড় বেড়েছিল। কিন্তু প্রশাসনের কাছে দুপুর ৩ টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত প্রচারসভার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল বলে দাবি ডিজির।
তাঁর কথায়, ‘সকাল ১১টা থেকে লোকজন এসে জমায়েত করতে থাকেন। কিন্তু বিজয় আসেন সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে। খাবার, পানীয় জলের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ছিল না। অভিনেতা বিজয়কে দেখার জন্য রোদের মধ্যে অপেক্ষা করছিলেন লোকজন।’
মন্তব্য করুন
