

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চলতি বছরের জুলাই থেকে ভারতের মধ্যপ্রদেশে সরকারি ঘোষণা দিয়ে পরিবহন চেকপোস্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তবুও রাজ্যটির সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবৈধ চাঁদাবাজি হচ্ছে।
উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট সীমান্ত দিয়ে চলাচলকারী ট্রাকচালকদের অভিযোগ কাগজপত্র যাচাইয়ের নামে দালাল ও কিছু পরিবহনকর্মী নিয়মিত অর্থ দাবি করছে।
তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রেওয়া জেলায়।
তবে সেখানে চাঁদাবাজি করতে গিয়ে উল্টো বিপাকে পড়েন এক চাঁদাবাজ। চাঁদার দাবিতে ট্রাকে উঠে পড়লে চালক ট্রাক না থামিয়ে ৫ কিলোমিটার চালিয়ে যান। আর প্রাণ বাঁচাতে ট্রাক ধরে ঝুলে বাঁচার চেষ্টা করেন ওই চালক।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাজ্যের হানুমানা আরটিও চেকপোস্ট এবং রেওয়ার মাঝামাঝি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে।
ট্রাকচালক সুমিত প্যাটেল জানিয়েছেন, চাঁদাবাজ তার কাছে কাগজপত্র দেখানোর অজুহাতে টাকা দাবি করেন। তিনি রাজি না হলে এক চাঁদাবাজ জোর করে ট্রাকে উঠে পড়েন।
তাকে হয়রানি করা হবে এমন আশঙ্কায় সুমিত প্যাটেল ট্রাক চালিয়ে দেন এবং ৫ কিলোমিটার চালিয়ে যান। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায় ট্রাকে ঝুলে থাকা দালাল চালকের কাছে ক্ষমা চাইছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদাবাজদের আগ্রাসী আচরণ মুহূর্তেই আতঙ্কে পরিণত হয়। এই এলাকায় চলাচলকারী ট্রাক চালকদের দাবি, হনুমানসহ জেলার বেশ কয়েকটি চেকপোস্টে এই ধরনের চাঁদাবাজি নিয়মিত ঘটনা।
তাদের অভিযোগ, প্রায়শই প্রকাশ্যে এসব দালালরা নথিপত্রের ত্রুটির কথা উল্লেখ করে দীর্ঘ সময় আটকে রাখার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করে। যেসব চালক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান, তাদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা হয়রানি করা হয়।
চেকপোস্ট বন্ধ থাকার পরও কেন এসব অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধ হচ্ছে না এবং এর পেছনে কারা জড়িত এ নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে।
মন্তব্য করুন

