

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে বিয়ে করার জন্য তারই শিক্ষক চাপ দেয়। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। কিছুদিন পর ওই ছাত্রীকে খুজেঁ পাওয়া যায় না। ২০ দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর উদ্ধার হয় ছাত্রীর পচাগলা দেহাংশ।
ঘটনাটি ঘটে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তাল রামপুরহাট। এরইমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে স্কুলেরই ভৌত বিজ্ঞানের শিক্ষক মনোজ কুমার পাল।
বৃহস্পতিবার স্কুলের প্রধান শিক্ষককে ঘেরাও করেন উত্তেজিত জনতা। তাঁকে ধরে টানাহিঁচড়া করতে থাকেন। উদ্ধার করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশ।
খুনের পর প্রমাণ নিশ্চিহ্ন করার জন্য লাশ ২০টা টুকরো করে কাটার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কী কারণে নৃশংসভাবে খুন করা হলো ওই ছাত্রীকে? অভিযোগ, বিয়ের জন্যই নাকি সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে চাপ দিচ্ছিলেন শিক্ষক। বারবার তাঁকে উত্ত্যক্ত করতেন। কিন্তু বিয়ে করতে রাজি হয়নি ওই ছাত্রী। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়াতেই খুন করা হয়েছে—এমনটাই অনুমান করছে পুলিশ।
গ্রামের এক বাসিন্দা বলছেন, ‘আমাদের গ্রামের ছেলেমেয়েরা এখন অনেকেই মুখ খুলছে। ওরা বলছে, ওই ছাত্রীকে যাতায়াতের পথে বারবার আটকাত ওই শিক্ষক। অন্য কোনো ছেলের সঙ্গে কথা বলতে দিত না। বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।
বলেছিল, বড় হও, তোমাকেই বিয়ে করব। কিন্তু ২৮ তারিখ যে মনোজ স্যারই নিয়ে পালিয়েছিল, সেটা বুঝতে পারিনি।’
বুধবার সারা রাত ওই শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৮ আগস্ট প্রাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল সপ্তম শ্রেণির ওই ছাত্রী। পরিবারের পক্ষ থেকে রামপুরহাট থানায় নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন পরিবারের লোকজন। মঙ্গলবার গভীর রাতে রামপুরহাট থানার কালিডাঙা গ্রামের কাছে জলাজমি থেকে তার পচাগলা মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট থানার পুলিশ।
মন্তব্য করুন
