

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের মহারাষ্ট্রের নানদেড় জেলায় প্রেমজনিত বিরোধকে কেন্দ্র করে এক যুবককে প্রেমিকার পরিবারের হাতে নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের। তবে ঘটনার পর যে দৃশ্য সামনে এসেছে, তা আরও আলোচনার জন্ম দিয়েছে- প্রেমিকা নিহত যুবকের মরদেহের পাশে দাঁড়িয়েই সিঁথিতে সিঁদুর তুলে তাকে নিজের স্বামী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
তিন বছর ধরে সক্ষম ট্যাট ও আঁচল মামিলওয়ার একে অপরের সাথে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন। পরিবার এ সম্পর্ক নিয়ে শুরু থেকেই কঠোর আপত্তি জানিয়ে আসছিল।
বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে খবর পেয়ে যান যে, সক্ষম এলাকায় অবস্থান করছে।
অভিযোগ অনুযায়ী এরপর আঁচলের বাবা গজনন মামিলওয়ার, দুই ভাই সাহিল ও হিমেশসহ কয়েকজন মিলে তাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রথমে গুলি করা হয়, পরে পাথর দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত সক্ষম এবং অভিযুক্ত পরিবারের সদস্যদের কারও কারও বিরুদ্ধে পুরনো অপরাধের রেকর্ড রয়েছে। আঁচলের ভাইদের সঙ্গে সক্ষমের বন্ধুত্ব ছিল এবং সে প্রায়ই তাদের বাসায় যেত।
নিষেধাজ্ঞা মানেনি বলেই পরিবারের ক্ষোভ চরমে পৌঁছায়- এমন ধারণা তদন্ত সংশ্লিষ্টদের।
সংবাদ পাওয়ার পর আঁচল সক্ষমের বাড়িতে পৌঁছে মরদেহের পাশে দাঁড়ান এবং সিঁথিতে সিঁদুর তুলে জানান, তিনি মৃত্যুতেও তাকে জীবনসঙ্গী হিসেবেই মেনে নিচ্ছেন।
একই সঙ্গে তিনি তার বাবা, মা ও ভাইদের মৃত্যুদণ্ড দাবি করেন। তার অভিযোগ, সক্ষম ভিন্ন জাতের হওয়ায় পরিবার ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে হত্যার টার্গেট বানিয়েছে।
সক্ষমের মায়ের করা মামলার পর ইটওয়ারা থানায় হত্যা ও নির্যাতনের অভিযোগে আঁচলের পরিবারসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনার প্রায় ১২ ঘণ্টার মধ্যেই পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
মন্তব্য করুন

