

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম বহুবিবাহ নিষিদ্ধে নতুন আইন প্রণয়নের পথে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজ্য বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা এ সম্পর্কিত একটি বিল উপস্থাপন করেন।
‘আসাম বহুবিবাহ নিষিদ্ধকরণ বিল, ২০২৫’-এ উল্লেখ করা হয়েছে একাধিক বিয়ে করা আইনত অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। প্রথম স্ত্রী বা স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় তার সম্মতি নিয়ে পুনরায় বিয়ে করলে সর্বোচ্চ ৭ বছরের কারাদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। আর প্রথম বিয়ের তথ্য গোপন রেখে দ্বিতীয় বিয়েতে উদ্যোগ নেওয়া হলে এই সাজা বেড়ে সর্বোচ্চ ১০ বছর পর্যন্ত হতে পারে।
এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী, বহুবিবাহে দোষী প্রমাণিত কেউ রাজ্য সরকারের অধীন কোনও সরকারি চাকরিতে প্রবেশ করতে পারবেন না। সরকারি সহায়তা, ভাতা বা প্রকল্পের সুবিধা থেকেও তারা বঞ্চিত হবেন। এমনকি পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে পৌরসভা কোনো নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ারও সুযোগ থাকবে না তাঁদের।
বিরোধী দলগুলোর সদস্যরা জুবিন গার্গের মৃত্যু নিয়ে আলোচনার সময় ওয়াকআউট করায় তাঁদের অনুপস্থিতিতেই বিলটি পেশ হয়। প্রস্তাবিত আইনটি রাজ্যের সব এলাকায় কার্যকর হবে, তবে ষষ্ঠ তফসিলভুক্ত অঞ্চলগুলো এর বাইরে থাকবে। পাশাপাশি সংবিধানের ৩৪২ অনুচ্ছেদে সংজ্ঞায়িত তফসিলি জাতি ও জনজাতির সদস্যরাও এ আইনের আওতায় পড়বেন না।
রাজ্য সরকার কিছুদিন ধরেই বহুগামিতা নিষিদ্ধকরণ নিয়ে কাজ করছিল। সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বামী বা স্ত্রী জীবিত থাকলে এবং আইনগতভাবে বিচ্ছেদ না হলে কেউ আবার বিয়ে করতে পারবেন না। লক্ষ হলো রাজ্যে বহুবিবাহ প্রথা সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করা এবং সামাজিক শৃঙ্খলা বজায় রাখা।
বিলে বহুবিবাহকে ফৌজদারি অপরাধ বলা হয়েছে এবং আদালতে দোষী সাব্যস্ত হলে কারাদণ্ডের পাশাপাশি জরিমানাও হতে পারে। শুধু অভিযুক্ত ব্যক্তি নয়, বিয়েতে জড়িত কাজি, পুরোহিত, গ্রামনেতা, অভিভাবক যারা এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা করবেন, তারাও আইনের আওতায় আসবেন।
ভুক্তভোগী নারীদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা রাখাও বিলটির অংশ। কেউ যদি একই অপরাধ বারবার করেন, প্রতিবারই দ্বিগুণ শাস্তির বিধান থাকবে।
মন্তব্য করুন

