

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চলতি বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার সঙ্গে চলমান সংঘাতে ইউক্রেন প্রায় পাঁচ লাখ সেনা হারিয়েছে—এমন দাবি করেছে রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রে বেলোসভ মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক বোর্ড সভায় এই তথ্য তুলে ধরেন।
রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমের খবরে জানা যায়, বুধবার অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বক্তব্য দিতে গিয়ে বেলোসভ বলেন, চলতি বছরের শুরু থেকেই রুশ বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে বিপুলসংখ্যক ইউক্রেনীয় সেনা নিহত হয়েছে।
তার মতে, এত বড় ক্ষতির পর নিকট ভবিষ্যতে ইউক্রেনের পক্ষে সেনাবাহিনীকে নতুন করে সংগঠিত করা কঠিন হয়ে পড়বে। কারণ ব্যাপক প্রাণহানির ফলে দেশটির সাধারণ জনগণের মধ্যে বাধ্যতামূলক সামরিক দায়িত্ব পালনে আগ্রহ কমে যাচ্ছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও দাবি করেন, চলতি বছরে ইউক্রেন শুধু জনবল নয়, বিপুল পরিমাণ সামরিক সরঞ্জামও হারিয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, এক লাখের বেশি অস্ত্র ও যুদ্ধসরঞ্জাম ধ্বংস হয়েছে, যার মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান রয়েছে। এসবের একটি বড় অংশ পশ্চিমা দেশগুলোর সহায়তায় ইউক্রেন পেয়েছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন।
প্রসঙ্গত, ক্রিমিয়াকে রাশিয়ার অংশ হিসেবে স্বীকৃতি না দেওয়া এবং ন্যাটোতে যোগদানের প্রচেষ্টাকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিনের উত্তেজনার পর ২০২২ সালে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। যুদ্ধ শুরুর পরপরই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি একটি ডিক্রি জারি করে ১৮ থেকে ৬০ বছর বয়সী পুরুষদের দেশ ছাড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন।
যুদ্ধের শুরুতে সেনাবাহিনীতে যোগদানের সর্বনিম্ন বয়সসীমা ছিল ২৭ বছর, যা পরে কমিয়ে ২৫ বছর করা হয়। তবে বাধ্যতামূলক সেনা নিয়োগকে কেন্দ্র করে গত এক বছরে ইউক্রেনের বিভিন্ন এলাকায় সাধারণ জনগণ ও সামরিক কর্তৃপক্ষের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর এই বক্তব্যের বিষয়ে ইউক্রেন সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
মন্তব্য করুন

