

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইউরোপের আকাশে হঠাৎ করেই প্রবেশ করছে রাশিয়ার অত্যাধুনিক ড্রোন—যা না ধরা পড়ে রাডারে, না সময়মতো প্রতিরোধ করা যায়।
সীমান্ত পেরিয়ে নিঃশব্দে ঢুকে পড়া এসব ড্রোন ইউরোপজুড়ে নতুন নিরাপত্তা সংকট তৈরি করেছে। পোল্যান্ডসহ বিভিন্ন দেশ বুঝতে পারছে, তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থায় বড় ধরনের ঘাটতি রয়ে গেছে।
১৭ নভেম্বর লিথুয়ানিয়ার রাজধানী ভিলনিয়াসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিরক্ষা ও মহাকাশ কমিশনার আন্দ্রিউস কুবিলিউস এই বাস্তবতার বিষয়টি স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। দ্য মস্কো টাইমস জানিয়েছে, তার বক্তব্যে পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশিত হয়েছে।
কুবিলিউস বলেন, পোল্যান্ডে রাশিয়ার সাম্প্রতিক ড্রোন অনুপ্রবেশ ইউরোপকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে—ড্রোন শনাক্তকরণ ও প্রতিরোধে তারা এখনও যথেষ্ট প্রস্তুত নয়। বিষয়টি শুধু প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা নয়, পুরো ইউরোপের নিরাপত্তা স্থাপনার জন্য বড় ধরনের হুঁশিয়ারি।
তিনি সতর্ক করে দেন, রাশিয়া প্রতিটি হামলা থেকে নতুন কৌশল শিখে আরও শক্তিশালী হচ্ছে, তবে ইউরোপ কি একই গতিতে নিজেদের উন্নত করছে এ প্রশ্ন এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার সুযোগ হাতছাড়া হলে সেটি হবে এক ঐতিহাসিক ভুল, যার প্রভাব ইউক্রেনকেও আরও বিপদের দিকে ঠেলে দেবে।
ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির উদাহরণ তুলে ধরে কুবিলিউস বলেন, ইউক্রেন যেভাবে দ্রুত ড্রোন মোকাবিলার কৌশলে মানিয়ে নিয়েছে, সেটিই এখন ইউরোপের শেখার সবচেয়ে বড় সুযোগ। সেই অভিজ্ঞতা গ্রহণ করলে ইউরোপের প্রতিরক্ষা অনেক শক্তিশালী হতে পারে।
এদিকে ইউরোপের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও একই সতর্কবার্তা দিচ্ছে। তাদের ধারণা, ভবিষ্যতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ন্যাটোর কোনো দেশকে লক্ষ্য করে বড় ধরনের আক্রমণের পরিকল্পনা করতে পারেন। সেই ঝুঁকি মাথায় রেখে ন্যাটো ইতোমধ্যে পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা পাঠিয়েছে এবং প্রতিষ্ঠা করেছে নতুন ড্রোন প্রতিরক্ষা কাঠামো।
মন্তব্য করুন
