শনিবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নববর্ষের শুভেচ্ছায় পুতিনকে কিম জং উনের বার্তা

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৪ পিএম
কিম ও পুতিন
expand
কিম ও পুতিন

নববর্ষ উপলক্ষে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাঠানো শুভেচ্ছা বার্তায় উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, এই সংঘাতের মধ্য দিয়ে দুদেশের মধ্যে ‘রক্ত, জীবন ও মৃত্যুর বন্ধন’ তৈরি হয়েছে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএ শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) এই বার্তার তথ্য প্রকাশ করে।

বার্তায় কিম জং উন উল্লেখ করেন, ২০২৫ সাল উত্তর কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় হতে যাচ্ছে। তাঁর মতে, ইউক্রেন যুদ্ধে একই ট্রেঞ্চে অবস্থান করে রক্ত ঝরানোর অভিজ্ঞতা এই জোটকে আরও শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়েছে।

দক্ষিণ কোরিয়া ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থার দাবি অনুযায়ী, ইউক্রেনে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের সামরিক অভিযানে সহায়তা দিতে পিয়ংইয়ং হাজার হাজার সেনা পাঠিয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে উত্তর কোরিয়া প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে স্বীকার করে যে তারা রাশিয়ার পক্ষে সেনা মোতায়েন করেছে এবং সংঘর্ষে তাদের সেনাদের প্রাণহানিও হয়েছে।

এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুতে উত্তর কোরিয়া জানায়, রাশিয়ার কুরস্ক অঞ্চলে মাইন অপসারণ অভিযানে তাদের সেনারা অংশ নিয়েছিল। পিয়ংইয়ংয়ের তথ্য অনুযায়ী, ১২০ দিনের ওই অভিযানে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং রেজিমেন্টের অন্তত ৯ জন সদস্য নিহত হন। ১৩ ডিসেম্বর দেশে ফেরা সেনাদের এক অনুষ্ঠানে কিম জং উন নিজেই এই তথ্য জানান।

পুতিনকে নববর্ষের বার্তা পাঠানোর আগের দিন কিম জং উন দেশটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এসব পরীক্ষার উদ্দেশ্য একদিকে অস্ত্রের নির্ভুলতা বাড়ানো, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতি কৌশলগত চাপ সৃষ্টি করা। পাশাপাশি রাশিয়ায় অস্ত্র সরবরাহের আগে কার্যকারিতা যাচাই করাও এর একটি লক্ষ্য।

সেনা পাঠানোর পাশাপাশি উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে আর্টিলারি গোলা, ক্ষেপণাস্ত্র এবং দূরপাল্লার রকেট সিস্টেম সরবরাহ করছে বলেও বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এর বিপরীতে মস্কো পিয়ংইয়ংকে আর্থিক সহায়তা, সামরিক প্রযুক্তি এবং খাদ্য ও জ্বালানিসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকদের ধারণা।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X