

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের ‘বি’ গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে বড় চমক থেকে অল্পের জন্য রক্ষা পেল মিসর।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেক পিছিয়ে থাকা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তের গোলে ২-১ ব্যবধানে জয় তুলে নেয় সাতবারের আফ্রিকান চ্যাম্পিয়নরা।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে নাটকীয় এই জয়ের নায়ক ছিলেন দলনেতা মোহাম্মদ সালাহ।
লিভারপুল তারকা ম্যাচের যোগ করা সময়ের ৯১ মিনিটে মাথা ছুঁইয়ে দেওয়া গোল করে নিশ্চিত করেন মিসরের জয়। পুরো ম্যাচে বলের দখল ও আক্রমণে আধিপত্য দেখালেও জিম্বাবুয়ের দৃঢ় রক্ষণভাগ ভাঙতে রীতিমতো ঘাম ঝরাতে হয় হোসাম হাসানের দলকে। ম্যাচজুড়ে ৩৫টি শট নেয় মিসর, যার মধ্যে ১১টি ছিল লক্ষ্যে।
খেলার শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছন্দে ছিল মিসর। চতুর্থ মিনিটেই ট্রেজেগেটের দৌড়ে তৈরি হওয়া সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি আশুর। মিনিট তিনেক পর সালাহর নিখুঁত ক্রস থেকেও গোল আদায় করতে ব্যর্থ হন ট্রেজেগেট। জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ গোলরক্ষক ওয়াশিংটন আরুবি একের পর এক দারুণ সেভ করে দলকে ম্যাচে টিকিয়ে রাখেন।
পুরো প্রথমার্ধে মিসরের আক্রমণের চাপ সামলাতে ব্যস্ত ছিল জিম্বাবুয়ে। সালাহ ও আশুর বেশ কয়েকবার গোলের খুব কাছাকাছি গিয়েও সফল হননি। তবে ম্যাচের ২০ মিনিটে ঘটে অপ্রত্যাশিত ঘটনা। তানজানিয়ার ইয়াং আফ্রিকান্স ক্লাবের ফরোয়ার্ড প্রিন্স দুবে বক্সের ভেতরে দুর্দান্ত টার্ন নিয়ে জোরালো শটে বল জালে পাঠিয়ে এগিয়ে দেন জিম্বাবুয়েকে। মিসরের গোলরক্ষক এল-শেনাওয়ির সেখানে কিছু করার ছিল না।
গোল হজমের পর কিছু সময়ের জন্য এলোমেলো হয়ে পড়ে মিসর। ২৫ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও পায় জিম্বাবুয়ে। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিরতির আগেই মিডফিল্ডার আশুরকে তুলে নিয়ে আক্রমণভাগ শক্তিশালী করতে নামানো হয় মোস্তাফা মোহাম্মদকে।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে ওমর মারমুশের শক্তিশালী শটও অসাধারণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে দেন আরুবি। ফলে বিরতিতে এক গোলের লিড নিয়েই ড্রেসিংরুমে যায় জিম্বাবুয়ে।
দ্বিতীয়ার্ধে আবারও দলের হাল ধরেন সালাহ। একের পর এক আক্রমণ সাজিয়ে সমতার খোঁজে মরিয়া হয়ে ওঠে মিসর। তবে সাহসী ফুটবল খেলে প্রতিরোধ গড়ে তোলে জিম্বাবুয়ে। ৫৫ মিনিটে মারমুশের আরেকটি ভালো সুযোগ নষ্ট হয় আরুবির দৃঢ়তায়।
শেষ পর্যন্ত চাপের মুখে ক্লান্ত হয়ে পড়ে জিম্বাবুয়ে। ৬৪ মিনিটে ডান পায়ের শক্তিশালী শটে সমতা ফেরান মারমুশ। এরপর পুরোপুরি রক্ষণে মনোযোগ দেয় জিম্বাবুয়ে। কিন্তু ইনজুরি সময়ে আর রক্ষা হয়নি। যোগ করা সময়ের শুরুতেই ডাইভিং হেডে গোল করে জিম্বাবুয়ের সব প্রতিরোধ ভেঙে দেন সালাহ।
শেষ পর্যন্ত প্রবল লড়াই করেও হার এড়াতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। কঠিন পরীক্ষা পার করে গুরুত্বপূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই আফ্রিকা কাপ অভিযান শুরু করল মিসর।
মন্তব্য করুন

