

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০২২ সালে দুটি প্রীতি ম্যাচ খেলতে ঢাকায় এসেছিল মালয়েশিয়া নারী ফুটবল দল। কমলাপুরে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ৬–০ গোলের বড় জয় পায়, আর দ্বিতীয় ম্যাচটি হয় গোলশূন্য ড্র। সেই বড় হারের আঘাতই যেন তিন বছর পরে শোধ করল মালয়েশিয়ার মেয়েরা।
বুধবার (২৬ নভেম্বর) ঢাকার জাতীয় স্টেডিয়ামে তিন জাতির আন্তর্জাতিক সিরিজের উদ্বোধনী ম্যাচে মালয়েশিয়া ১–০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশকে।
কোচ পিটার বাটলারের হাইলাইন ডিফেন্সকে টার্গেট করেই ম্যাচের শুরুতে আক্রমণ সাজায় মালয়েশিয়া। খেলার ১৮ মিনিটে তাদের সেই পরিকল্পনার সফলতা আসে—গোল করে এগিয়ে যায় অতিথি দল। এরপর পুরো ম্যাচেই এই লিড ধরে রেখে সিরিজ শুরু করে দুর্দান্তভাবে।
মালয়েশিয়া নারী দলের দায়িত্ব এ বছর মে মাসে নেন ব্রাজিলিয়ান কোচ জোয়েল করনেলি। ম্যাচের শুরুতেই বাংলাদেশের উঁচু ডিফেন্স লাইন দেখে তিনি কীভাবে আক্রমণ সাজাতে হবে তা অনুমান করে ফেলেন। বলতে গেলে তার কৌশলের দারুণ ব্যবহারেই পিছু হটতে হয় পিটার বাটলারের দলকে।
ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন মালয়েশিয়ার আনসিয়া বিনতে। ম্যাচের ২৮ মিনিটে বাম দিক থেকে বল পেয়ে তিনি এগিয়ে যান। তখন পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক রূপনা চাকমা। আনসিয়াকে থামাতে ব্যর্থ হন কোহাতি কিসকুও। বক্সের বাইরে থেকে ফাঁকা পোস্টে বল পাঠিয়ে দেন মালয়েশিয়ান এই মিডফিল্ডার।
এর আগেই অবশ্য এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। ডান দিক থেকে শামসুন্নাহার জুনিয়র ক্রস তুললে ঋতুপর্ণা মাথা ছুঁইয়ে দিতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধেও দুই দলই গোলের সুযোগ তৈরি করে। ৬৮ মিনিটে বাম দিক দিয়ে ঋতুপর্ণার ক্রস থেকে বদলি খেলোয়াড় সাগরিকা হেড নিলেও বল দ্বিতীয় পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। অন্যদিকে মালয়েশিয়া যদি কয়েকটি সহজ সুযোগ নষ্ট না করতো, ব্যবধান আরও বাড়তে পারত।
এই জয়ে বাংলাদেশকে দ্বিতীয়বারের মতো হারাল মালয়েশিয়া। আর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের মেয়েদের এটি টানা তৃতীয় হার। এর আগে থাইল্যান্ডের কাছে তারা ৩–০ ও ৫–১ গোলে পরাজিত হয়েছিল।
প্রায় ১২ বছর পর জাতীয় স্টেডিয়ামে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে নামে বাংলাদেশ নারী দল। তবে প্রত্যাবর্তন সুখকর হয়নি—এই ভেন্যুতে এটি তাদের টানা সপ্তম হার। সর্বশেষ ২০১০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে এই মাঠে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের একাদশ
রূপনা চাকমা, সিউলি আজিম, শামসুন্নাহার সিনিয়র (জয়নব বিবি), আফঈদা খন্দকার, কোহাতি কিসকু, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, সুলতানা (তহুরা), মুনকি আক্তার (স্বপ্না রানী), ঋতুপর্ণা চাকমা (মামুনি চাকমা), শামসুন্নাহার জুনিয়র (সাগরিকা)
মন্তব্য করুন