শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বিড়াল কেন পানি ভয় পায়, আর কেন বাহাতি হয়?

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৩:৫৩ পিএম
বিড়াল
expand
বিড়াল

বিড়াল মানুষের অন্যতম প্রিয় সঙ্গী প্রাণী। এর লাবণ্যময় চলাফেরা, সামাজিক স্বভাব এবং সহজে মানুষের সঙ্গে খাপ খাওয়াতে পারার ক্ষমতা তাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।

তবে অনেক সময় লক্ষ্য করা যায়, বিড়াল পানিকে ভয় পায় এবং তাদের মধ্যে বাহাতি হওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। প্রশ্ন হলো—এ আচরণের পেছনে আসল কারণ কী?

পানির প্রতি ভীতি

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিড়ালের পানিকে ভয় পাওয়ার বিষয়টি একক কারণে নয়। এটি তাদের বিবর্তন, দেহের গঠন, ঘ্রাণশক্তি ও শৈশবের অভিজ্ঞতার যৌথ প্রভাব।

গৃহপালিত বিড়ালের পূর্বপুরুষ আফ্রিকান ওয়াইল্ডক্যাট মরুভূমি অঞ্চলে বাস করত। সেখানে নদী বা জলাশয়ের প্রয়োজন ছিল না।

ফলে প্রাকৃতিকভাবে তাদের মধ্যে পানির সঙ্গে অভ্যস্ত হওয়ার প্রবণতা গড়ে ওঠেনি। এ কারণে গৃহপালিত বিড়ালও পানিকে এড়িয়ে চলার প্রবণতা ধরে রেখেছে।

অন্যদিকে বাঘ, জাগুয়ার কিংবা ফিশিং ক্যাট পানিতে সাঁতার কাটতে সক্ষম হলেও বিড়াল শরীর ভিজলে বেশ অস্বস্তি বোধ করে। ভেজা পশম ভারী হয়ে যায়, সহজে চলাফেরা করা কঠিন হয় এবং ফেরোমোন ঢেকে যায়, যা তাদের জন্য চাপের কারণ হয়।

পাশাপাশি পানির রাসায়নিক উপাদান যেমন ক্লোরিন বা ধাতব গন্ধ বিড়ালের তীব্র ঘ্রাণশক্তিকে বিরক্ত করতে পারে। অনেক সময় তারা পানিকে কেবল ঠান্ডা বা ভিজে ভাব নয়, বরং এক ধরনের "অস্বস্তিকর গন্ধের উৎস" হিসেবেও দেখে।

ছোট বিড়ালের শৈশবকালীন অভিজ্ঞতা এই ভীতিকে আরও প্রভাবিত করে। শৈশবে পানির সংস্পর্শে না এলে বড় হয়ে তারা সহজেই পানিকে হুমকি হিসেবে ভাবতে পারে।

বাহাতি হওয়ার কারণ

মানুষের মতো বিড়ালেরও একটি প্রভাবশালী থাবা থাকে। কেউ বাঁ থাবা, কেউ বা ডান থাবা বেশি ব্যবহার করে। গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষ বিড়ালদের মধ্যে বাঁ-থাবা ব্যবহারের প্রবণতা বেশি, আর স্ত্রী বিড়ালরা সাধারণত ডান থাবায় নির্ভরশীল।

এটি আসলে তাদের মস্তিষ্কের সেরিব্রাম অংশের কার্যকারিতার সঙ্গে সম্পর্কিত। যেমন মানুষের ক্ষেত্রে ডান বা বাঁ-হাতি হওয়ার বিষয়টি স্নায়ুতন্ত্রের নিয়ন্ত্রণে নির্ধারিত হয়, বিড়ালের ক্ষেত্রেও তেমনটি ঘটে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন