

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সপ্তদশ শতাব্দীতে ইতালির সিসিলির পালেরমোতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন গিউলিয়া তোফানা। তিনি ছিলেন একজন পেশাদার বিষ প্রস্তুতকারক। গিউলিয়া নিজেই ‘অ্যাকোয়া তোফানা’ নামে একটি বিষ তৈরি করতেন।
এই বিষ মূলত এমন নারীদের কাছে বিক্রি করা হতো, যারা অত্যাচারী স্বামীদের হাত থেকে মুক্তি পেতে চাইতেন।
‘অ্যাকোয়া তোফানা’ ছিল স্বাদহীন, গন্ধহীন এবং বর্ণহীন। এর মূল উপাদান ছিল আর্সেনিক, সীসা ও বেলাডোনা। প্রশাসনের সন্দেহ এড়াতে এটি ছোট বোতলে প্রসাধনী বা নিরাময় তেলের আকারে বিক্রি হতো।
গিউলিয়া তার মেয়ে ও কিছু বিশ্বস্ত সহযোগীর মাধ্যমে গোপনে এই ব্যবসা চালাতেন। সহযোগীরা ছদ্মবেশে ওষুধ বা প্রসাধনী হিসেবে বিষ বিক্রি করত। বিষটি এমনভাবে তৈরি করা হতো যে এটি ধীরে ধীরে কাজ করত। অল্প অল্প পরিমাণে প্রয়োগ করলে মৃত্যুটা সাধারণ অসুস্থতার মতো মনে হতো, তাই কারো সন্দেহ হতো না।
সপ্তদশ শতাব্দীর ইতালিতে বিবাহবিচ্ছেদ সহজলভ্য ছিল না। ফলে অনেক নারী গিউলিয়ার তৈরি বিষকেই একমাত্র উপায় হিসেবে গ্রহণ করতেন। পরে একটি গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে গিউলিয়া শহরের পানি বিষাক্ত করেছেন। এই কারণে কর্তৃপক্ষের সন্দেহ হয় এবং তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ভয়াবহ নির্যাতনের পর গিউলিয়া স্বীকার করেন যে ১৬৩৩ থেকে ১৬৫১ সালের মধ্যে তিনি রোমে ৬০০ এরও বেশি পুরুষকে বিষ দিয়ে হত্যা করেছেন। ১৬৫৯ সালে তাকে এবং তার মেয়েকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
গিউলিয়ার গল্প ইতালীয় লোককথার একটি অংশ হয়ে আছে এবং তৎকালীন সমাজে নারীর অসহায়ত্ব ও সীমাবদ্ধতার একটি করুণ দৃষ্টান্ত তুলে ধরে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    