

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের শিক্ষক নাহরিন ইসলাম খান জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারের ব্যবহৃত ‘অধ্যাপক’ উপাধির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
একই সঙ্গে জামায়াত নেতার দায়ের করা মামলার বিষয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার অভিযোগ, নারী হওয়ার কারণেই তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার লক্ষ্যবস্তু হয়েছেন।
সম্প্রতি এক বেসরকারি টেলিভিশনের আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব বিষয়ে মত দেন অধ্যাপক নাহরিন।
তিনি বলেন, তার বিরুদ্ধে করা মামলার বিষয়টি অন্যায্য, কারণ যেই তথ্য তিনি টকশোতে উল্লেখ করেছিলেন, তা তার আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহুবার ছড়ানো হয়েছিল।
‘যে বিষয়টি নিয়ে মামলা, তা দুই সপ্তাহ ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে—তখন কেন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি?’—এমন প্রশ্নও তোলেন তিনি।
মামলাটি করেছেন সিরাজগঞ্জ জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।
সিরাজগঞ্জ সদর আমলি আদালতে দায়ের করা ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, ২৫ অক্টোবরের এক টেলিভিশন আলোচনায় ড. নাহরিন ‘মিথ্যা ও কুরুচিপূর্ণ’ বক্তব্য দেন, যা পরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিক্রিয়ায় অধ্যাপক নাহরিন বলেন, তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে কারণ তিনি একজন সোচ্চার নারী। তার মতে, জামায়াত নারীর কর্মক্ষেত্র ও মতপ্রকাশ সীমিত রাখার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতে ইসলামী যদি সত্যিই মর্যাদা রক্ষার বিষয়ে এত সংবেদনশীল হতো, তাহলে যারা টেলিভিশনে তাদের ‘কাফের’ বা ‘মুনাফেক’ বলেন, তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হতো।”
জাবি অধ্যাপক ‘অধ্যাপক’ পদবী ব্যবহারের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তার দাবি, অনেক জামায়াত নেতা খুব অল্প সময়ের শিক্ষকতা অভিজ্ঞতা নিয়েই নিজেদের ‘প্রফেসর’ পরিচয় দেন।
“দুই–তিন বছর কলেজে শিক্ষকতা করলেই কেউ অধ্যাপক হয়ে যান, অথচ আমি ২১ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেও প্রশ্নবিদ্ধ হই—এটি আসলে পদবীর অপব্যবহার,।
মন্তব্য করুন
