রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
রবিবার
১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাবা স্বাধীনতার বিরোধী হলেও যুদ্ধাপরাধী নন: ব্যারিস্টার আরমান

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০০ এএম আপডেট : ০২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:০১ এএম
ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম (আরমান)। ছবি : সংগৃহীত
expand
ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম (আরমান)। ছবি : সংগৃহীত

জামায়াতের প্রয়াত নেতা মীর কাশেম আলীর ছেলে ব্যারিস্টার মীর আহমদ বিন কাশেম (আরমান) গুম কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি ৮ বছর ‘আয়না ঘরে’ বন্দি ছিলেন।

সম্প্রতি এক টকশোতে ব্যারিস্টার আরমান তাঁর পিতা মীর কাসেম আলী সম্পর্কে প্রকাশ্যভাবে বক্তব্য দিয়েছেন।

তিনি বলেন, তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বাধীনতার বিরোধিতা করলেও কোনো সহিংস কর্মকাণ্ডে বা যুদ্ধাপরাধে সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।

টকশোতে উপস্থাপক জানতে চান, যেহেতু তাঁর পিতা মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন, তাহলে তাঁকে “মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের” বলা কি সম্ভব নয়।

একই সঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, স্বাধীনতার বিরোধিতা করলে তাঁর বিচারকে “জুডিশিয়ারি কিলিং” হিসেবে দাবি করা কেন।

এর জবাবে ব্যারিস্টার আরমান বলেন, “রাজনৈতিক ভিন্নমত থাকা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধে যুক্ত থাকা- এই দুই আলাদা বিষয়।

আমার পিতা স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলেন দেশের নিরাপত্তার কারণে, কোনো সহিংসতার অংশ হিসেবে নয়।”

আরমান আরও জানান, তাঁর পিতার ধারণা ছিল যে বাংলাদেশের ছোট ভূ-খণ্ড, চারপাশে শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্র, এবং অতীতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলমানদের ওপর নির্যাতনের নজির- এই পরিস্থিতিতে স্বাধীনতা অর্জন করলে দেশ ভৌগোলিক ও রাজনৈতিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়বে।

তিনি বলেন, “স্বাধীনতা কাম্য ছিল, কিন্তু আমরা ভেবেছিলাম, আলাদা রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ সিকিমের মতো দুর্বল হয়ে পড়তে পারে। যদি আমরা জানতাম দেশ মুসলমান পরিচয় নিয়ে শক্ত অবস্থানে দাঁড়াবে, আমরা কখনও বিরোধিতা করতাম না। আমাদের কাজ ছিল দেশের স্বার্থ বিবেচনা করে।”

সবশেষে আরমান নিশ্চিত করেন, “আমার পিতা রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমত পোষণ করেছিলেন। তবে কোনো মানুষ হত্যা বা সহিংস অপরাধে যুক্ত ছিলেন না।”

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X