শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শনিবার
০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

হজে দোয়া কবুলের পুণ্যময় সময় ও স্থানসমূহ

এনপিবি ডেস্ক
প্রকাশ : ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১১:১৭ এএম
expand
হজে দোয়া কবুলের পুণ্যময় সময় ও স্থানসমূহ

হজ ইসলামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। হজরত মুহাম্মদ (সা.) এবং পূর্ববর্তী নবী-রাসুলরা যেসব স্থানে দোয়া করেছিলেন, সেই স্থানগুলো আজও হজিদের জন্য দোয়া কবুলের সম্ভাবনাময় স্থান হিসেবে গণ্য।

দোয়া ইবাদতের মূল

হজ বা ওমরাহর যাত্রা শুরু হয় ইহরাম নিয়ত থেকে এবং বাড়ি ফেরার পরও প্রায় ৪০ দিন পর্যন্ত হাজির দোয়া কবুল হতে থাকে। কোরআনে আল্লাহ বলেন, ‘ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাসতাইন’—আমরা কেবল আপনারই ইবাদত করি এবং আপনারই সাহায্য চাই (সুরা ফাতিহা, আয়াত: ৪)। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, “দোয়া হলো ইবাদতের মগজ। যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।”

হজের গুরুত্বপূর্ণ দোয়া স্থানসমূহ

মক্কা শরিফ: হারাম শরিফ, মসজিদুল হারাম, কাবা শরিফ, হাতিমে কাবা, মিজাবে রহমত, হাজরে আসওয়াদ, মুলতাজিম, কাবার দরজা, মুস্তাজার, মাকামে ইব্রাহিম, জমজম কূপ ও মাতাফ।

তাওয়াফ শেষে দোয়া: “রাব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানা, ওয়া ফিল আখিরাতি হাসানা; ওয়া ক্বি না আজাবান নার।” (সুরা বাকারা, আয়াত: ২০১)

আরাফাত ময়দান: হজরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.)-এর পুনর্মিলনের স্থানে দোয়া কবুল হয়।

মুজদালিফা, মিনা ও মসজিদে খায়েফ: পাথর মারার স্থান বা জামরাত প্রান্তরে দোয়া কবুল হয়।

বিশেষ মুহূর্ত

হজের সফরে প্রতিটি মুমিনের দোয়া স্বাভাবিকভাবেই কবুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। হজের পর যত দিন হাজি গুনাহমুক্ত থাকবেন, দোয়া কবুল হতে থাকবে, ইনশা আল্লাহ।

উপদেশ

হজরত মুহাম্মাদ (সা.) এবং সাহাবায়ে কেরামের দোয়ার স্থানসমূহ অনুসরণ করে দোয়া করা উত্তম। মক্কা ও মিনার বিভিন্ন জায়গায় দোয়া করলে আল্লাহর নৈকট্য প্রাপ্তি ও দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন