

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নামাজে আমরা যা পাঠ করি তার অর্থ যদি বুঝি, তবে মন অন্য দিকে চলে যায় না। এজন্য নামাজে চোখ ও মনকে সঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। তাকবিরে তাহরিমার সময় ও দাঁড়ানো অবস্থায় দৃষ্টি রাখতে হবে সিজদার স্থানে।
রুকুতে চোখ রাখতে হবে পায়ের বৃদ্ধাঙ্গুলির দিকে। সিজদায় নাকের আগায় দৃষ্টি রাখা উচিত। বসার সময় চোখ রাখা যায় নাভির দিকে। সালামের সময় দৃষ্টি থাকবে কাঁধের দিকে।
এভাবে মনোযোগ দিয়ে নামাজ পড়লে আত্মসংযম ও একাগ্রতা বৃদ্ধি পায় এবং নামাজের আসল উদ্দেশ্য পূর্ণ হয়। নামাজে দাঁড়িয়েই প্রথমে বলা হয় “আল্লাহু আকবার”—অর্থাৎ আল্লাহ মহান!
এরপর সানা দোয়া পড়া হয়, যাতে আল্লাহর পবিত্রতা, প্রশংসা, নামের বরকত ও একত্বের স্বীকৃতি রয়েছে।
তারপর শয়তান থেকে রক্ষা চেয়ে বলা হয়: “আউযু বিল্লাহি মিনাশ শাইতানির রাজিম”—অর্থাৎ বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাই। এরপর বলা হয়: “বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম”—অর্থ: করুণাময়, দয়ালু আল্লাহর নামে শুরু করছি।
সূরা ফাতিহার বিশেষ মর্যাদা: নামাজে সূরা ফাতিহা পাঠের সময় বান্দা ও আল্লাহর মধ্যে এক বিশেষ সম্পর্ক তৈরি হয়। আলহামদু লিল্লাহি রাব্বিল আলামিন”—বান্দা প্রশংসা করলে আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার প্রশংসা করেছে।
“আর রাহমানির রাহিম”—আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমার বিশেষ প্রশংসা করেছে। “মালিকি ইয়াওমিদ্দিন”—আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা আমাকে মর্যাদা দিয়েছে। “ইয়্যাকা নাবুদু ওয়া ইয়্যাকা নাস্তাঈন”—এখানে আল্লাহ বলেন: এটি আমার ও বান্দার মধ্যে চুক্তি, সে ইবাদত করবে, আমি তাকে সাহায্য করব। আর যখন বান্দা সঠিক পথের দোয়া করে, আল্লাহ বলেন: আমি আমার বান্দাকে তা দেব।
রুকু, সিজদা ও বৈঠক:
রুকুতে পড়া হয়: “সুবহানা রাব্বিয়াল আজিম”—অর্থ: আমার মহান রবের প্রশংসা করছি। রুকু থেকে ওঠার পর বলা হয়: “সামি আল্লাহু লিমান হামিদাহ”—আল্লাহ প্রশংসাকারীর কথা শুনেন। তারপর বলা হয়: “রাব্বানা লাকাল হামদ”—হে আল্লাহ! যাবতীয় প্রশংসা তোমারই জন্য।
সিজদায় বলা হয়: *“সুবহানা রাব্বিয়াল আ’লা”—অর্থ: আমার মহান রবের পবিত্রতা ঘোষণা করছি। তাশাহুদে আল্লাহর প্রশংসা, নবীর প্রতি সালাম এবং ঈমানের সাক্ষ্য দেওয়া হয়।
দরুদ ও দোয়া: দরুদে বান্দা নবী ﷺ ও তাঁর পরিবার-আহলে বাইতের জন্য রহমত কামনা করে। মাসুরা দোয়ায় বান্দা নিজের গুনাহ স্বীকার করে আল্লাহর কাছে ক্ষমা ও দয়া চায়।
নামাজের সমাপ্তি
শেষে দুই দিকে সালাম ফেরানোর মাধ্যমে নামাজ সম্পন্ন হয়—যা চারপাশে শান্তি ও রহমতের ঘোষণা।
মন্তব্য করুন
