

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার উমরদি মাদবরকান্দি গ্রামে পারিবারিক দ্বন্দ্বের জেরে দুইজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
প্রথমে ফজরের আজান ও বয়ান দেওয়া নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে ভাতিজার ছুরিকাঘাতে নিহত হন চাচা বিএনপি নেতা খবির সরদার (৫৫)। এর দুই দিন পর মাটিচাপা দেওয়া অবস্থায় ভাতিজা আলমাস সরদারের (২৮) লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহত খবির সরদারের পরিবারের অভিযোগ, মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) রাতে আলমাস সরদার ও তার সহযোগীরা খবির সরদারকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে। এরপর থেকেই আলমাস নিখোঁজ ছিলেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) গভীর রাতে প্রতিবেশী আবুল কালামের বাড়ির পেছনে মাটির নিচে আলমাসের বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়। তার পরিবার দাবি করছে, খবির সরদারের পক্ষের লোকজন আলমাসকে হত্যা করে লাশ গোপন করেছিল।
আলমাসের বোন হালিমা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে পরপর দুটি হত্যাকাণ্ডে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম জানান, ‘‘আলমাসের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। খবির সরদার হত্যার মূল আসামি ছিলেন আলমাস। তবে তার মৃত্যু কীভাবে হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় যারা জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে।’’
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
