

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দেওয়া ভাষণকে “যথেষ্ট শক্তিশালী” বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে এ বিষয়ে কোনো দ্বিধা নেই—নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতেই অনুষ্ঠিত হবে।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের গ্র্যান্ড হায়াত হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সাম্প্রতিক দিনগুলোতে বারবার নির্বাচন প্রসঙ্গে কথা বলেছেন। তাঁর জাতিসংঘের ভাষণ ছিল যথেষ্ট শক্তিশালী এবং স্পষ্ট। আমরা নিশ্চিত ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে।”
প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের প্রশংসা করে ফখরুল জানান, ওই ভাষণে সরকারের সংস্কার কর্মসূচি এবং জাতীয় ঐক্যের বিষয়টি স্পষ্টভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা সেই উদ্দেশ্যের কথাই বলেছেন, যার ভিত্তিতে এই সরকার গঠিত হয়েছিল। গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে যে শূন্যতা তৈরি হয়েছিল, রাজনৈতিক দল ও শিক্ষার্থীরা একসঙ্গে তাঁদের এই দায়িত্ব দেয়। এক বছরের মধ্যে অর্থনীতি ও রাজনীতিকে তুলনামূলক ভালো অবস্থানে আনতে সরকার চেষ্টা চালিয়েছে—এ কথাও তাঁর ভাষণে উঠে এসেছে।”
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ড. ইউনূস ব্যাখ্যা করেছেন কীভাবে তাঁর সরকার অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করা এবং দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সংস্কারের দাবি মোকাবিলায় কাজ শুরু করেছে। তিনি মনে করিয়ে দেন যে বিএনপি বহুদিন ধরেই কাঠামোগত সংস্কারের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। “আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ২০১৬ সালে ভিশন ২০৩০ ঘোষণা করেছিলেন, যেখানে রাষ্ট্র ও অর্থনীতির সংস্কারের কথা বলা হয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে তারেক রহমান ৩১ দফা কর্মসূচি দেন, যেখানে একই ধরনের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা হয়,” উল্লেখ করেন তিনি।
ফখরুল বলেন, আওয়ামী লীগ যে পরিস্থিতি তৈরি করেছিল তা মৌলিক পরিবর্তনকে অপরিহার্য করে তুলেছিল। “রাষ্ট্র কাঠামো ও অর্থনৈতিক কাঠামোর সংস্কার ছাড়া জাতিকে এগিয়ে নেওয়া কঠিন ছিল। আজ প্রধান উপদেষ্টা সেই পরিবর্তনের কাজ শুরু করেছেন এবং জাতিসংঘের বৈশ্বিক ফোরামে তা তুলে ধরেছেন,” তিনি যোগ করেন।
অন্তর্ভুক্তিমূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “ইতিহাসে প্রথমবার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে সরকারের কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এবং জাতিসংঘে তাদের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। জাতির ঐক্য প্রদর্শনের জন্য এটি ছিল একটি অনন্য উদ্যোগ।” তিনি জানান, বিএনপি এ প্রচেষ্টাকে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও এটিকে স্বীকৃতি দিয়েছেন।
জামায়াতে ইসলামী যে অনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ইস্যুতে আন্দোলন চালাচ্ছে সে প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, “বিএনপি নিম্নকক্ষে পিআরের পক্ষে নয়, এমনকি উচ্চকক্ষ নিয়েও কোনো প্রস্তাব দেয়নি। এ ধরনের বিষয় পরবর্তী আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা হবে।”
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    