

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিলেও জিএম কাদেরের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি (জাপা) এখন বড় ধরনের প্রার্থী সংকটে পড়েছে।
আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ থাকায় লাঙল প্রতীকের ভোট বাড়তে পারে- এমন আলোচনা থাকলেও বাস্তবে দলটির মনোনয়ন নিতে আগ্রহ খুবই কম বলে দলীয় সূত্রগুলো জানিয়েছে।
গত বুধবার থেকে মনোনয়ন ফরম বিক্রি শুরু হলেও প্রথম পাঁচ দিনে মাত্র ৬৭টি ফরম বিক্রি হয়েছে। আগ্রহ কম থাকায় মনোনয়ন ফরম বিক্রির সময়সীমা আরও তিন দিন বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদের নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টির পৃথক অংশ, জাতীয় গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট, আজ মঙ্গলবার তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
এই জোটে রয়েছে ছয়টি নিবন্ধিত দল। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের ১৪-দলীয় জোটের শরিক আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন জাতীয় পার্টি-জেপি অন্যতম। পাশাপাশি রয়েছে বিএনএম, সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট, গণফ্রন্ট, মুসলিম লীগ ও তৃণমূল বিএনপি।
রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনা রয়েছে, আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টিসহ বৃহত্তর সুন্নি জোট ব্যারিস্টার আনিসের নেতৃত্বাধীন জাপা-জেপি জোটে যোগ দিতে পারে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে সমঝোতার ভিত্তিতে টানা চারটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার কারণে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ প্রতিষ্ঠিত জাতীয় পার্টিকে দীর্ঘদিন ‘সরকারঘেঁষা বিরোধী দল’ হিসেবে দেখা হতো।
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির বিএনপিবিহীন নির্বাচনে অংশ নিয়ে দলটি ৩৪টি আসন পেয়ে সংসদের প্রধান বিরোধী দলে পরিণত হয় এবং সরকারেও যুক্ত ছিল। ২০১৮ ও সর্বশেষ নির্বাচনেও তারা বিরোধী দলের ভূমিকায় ছিল।
তবে জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দলটির অবস্থান দুর্বল হয়ে পড়ে। ছাত্রনেতৃত্বের আপত্তির কারণে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে জাপাকে আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে না।
একাধিকবার দলীয় কার্যালয়ে হামলার ঘটনাও ঘটেছে। জি এম কাদেরসহ শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। নেতৃত্বের দ্বন্দ্বের জেরে অধিকাংশ জ্যেষ্ঠ নেতা ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলামের নেতৃত্বে একই নামে পৃথক দল গঠন করেন।
কেন্দ্রীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এখন পর্যন্ত ৬৭টি মনোনয়ন ফরম বিক্রি হয়েছে।
যদিও দলের মহাসচিব ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারীর দাবি, এই সংখ্যা দুই শতাধিক। তিনি জানিয়েছেন, ২৫ বা ২৬ ডিসেম্বর প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে এবং ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা থাকবে।
তবে জি এম কাদেরের সঙ্গে থাকা জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যেও নির্বাচনী আগ্রহ তেমন নেই। দলের এক প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভাষ্য, আগের নির্বাচনে বিপুল অর্থ ব্যয় করেও কাঙ্ক্ষিত ভোট মেলেনি। এবার পরিস্থিতি আরও প্রতিকূল। নৌকার ভোট লাঙলে আসবে-এমন সম্ভাবনাও তারা দেখছেন না।
মন্তব্য করুন

