

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশনজনিত জটিলতা দূর করা এবং তাদের কল্যাণমূলক সেবা বাড়াতে সরকার একাধিক নতুন উদ্যোগ নিয়েছে।
এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত সাম্প্রতিক এক বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে, যা বাস্তবায়িত হলে পেনশনভোগীদের জীবন আরও নিরাপদ ও স্বচ্ছল হবে।
সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, যারা শতভাগ পেনশন সমর্পণ করেছেন, তাদের পেনশন পুনঃস্থাপনের সময়সীমা ১৫ বছর থেকে কমিয়ে ১০ বছরে আনার প্রস্তাব অর্থ বিভাগ জাতীয় বেতন কমিশনে পাঠাবে। একই সঙ্গে পুনঃস্থাপনের আগেই কোনো পেনশনভোগীর মৃত্যু হলে তার স্বামী/স্ত্রী বা যোগ্য উত্তরাধিকারীদের পেনশন সুবিধা দেওয়ার বিষয়টি পর্যালোচনা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া পেনশনভোগী অবস্থায় কেউ দ্বিতীয় বিয়ে করলে তার মৃত্যুর পর দ্বিতীয় স্ত্রী বা স্বামীকে পারিবারিক পেনশন প্রদানের সম্ভাবনা যাচাই করতে সুপারিশ করা হয়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী একজন পেনশনভোগী মারা গেলে তার প্রথম স্ত্রী বা স্বামী আজীবন পেনশন পান, এবং শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের পেনশন পুনঃস্থাপনের অপেক্ষাকাল ১৫ বছর।
নতুন প্রস্তাবগুলোতে রয়েছে...
প্রবাসে কর্মরত কর্মকর্তা–কর্মচারীদের পেনশনসংক্রান্ত নথিপত্রে স্বাক্ষরদানসহ প্রয়োজনীয় আনুষ্ঠানিকতা সহজ করতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয়।
শতভাগ পেনশন সমর্পণকারীদের উৎসব ভাতা বৃদ্ধি এবং পেনশন পুনঃস্থাপনের পর সম্পূর্ণ ভাতাসংক্রান্ত সুবিধা যুক্ত করা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, অতীতে সময়-সময় সরকার পেনশন সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন নির্দেশনা জারি করেছে। তারই ধারাবাহিকতায় বর্তমানে বিদ্যমান জটিলতাগুলো দূর করতে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
