

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকার আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতির পাশাপাশি স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও আইনের শাসন নিশ্চিতে নাগরিকবান্ধব সংস্কার চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।
তিনি বলেন, আগামীতে জনগণের ভোটে যে দলই ক্ষমতায় যাক না কেন, সংস্কার বাস্তবায়নের কোনো সমস্যা হবে না।
শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৮০তম অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার সময় প্রধান মুহাম্মদ ইউনূস এসব কথা বলেন।
ড. ইউনূস বলেন, নির্বাহী আদেশে সংস্কার চালানো সম্ভব হলেও সরকার বেছে নিয়েছে কঠিন পথ—অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রক্রিয়া। এজন্য বিচার বিভাগ, শাসনব্যবস্থা, নির্বাচন, জনপ্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা, দুর্নীতি দমন ও নারী অধিকারসহ জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে ১১টি স্বাধীন সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়।
তিনি জানান, এই কমিশনগুলোর সুপারিশ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ঐকমত্য তৈরির জন্য ৩০টিরও বেশি রাজনৈতিক দল ও জোটকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন গঠন করা হয়। এর ফলশ্রুতিতেই গত জুলাই মাসে সব দল একসঙ্গে ‘জুলাই ঘোষণা’র মাধ্যমে সংস্কার কার্যক্রমে সময়াবদ্ধ অঙ্গীকার করে।
তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতা রক্ত দিয়ে দেশ গড়ার সুযোগ দিয়েছে, ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গড়ে তুলতে ব্যাপক সংস্কারের প্রয়োজন ছিল। ক্ষমতার ভারসাম্যপূর্ণ একটি অন্তর্বর্তী রাষ্ট্রকাঠামো গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যেখানে কোনো স্বৈরশাসনের আবির্ভাব হবে না। রাষ্ট্র ও জনগণের রক্ষকরা ভক্ষকে পরিণত হতে পারবে না।’
এ সময় বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে যাওয়া অর্থ ফেরতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দেশের পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা খুবই জরুরি। গত ১৫ বছরে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে। আমাদের মূল কাজ টাকা ফেরত আনা। যেসব দেশ ও প্রতিষ্ঠান পাচার হওয়া টাকা গচ্ছিত রাখছে, তাদের কাছে ফেরত দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
টাকা পাচার রোধে অন্তর্জাতিক কঠোর আইন করারও দাবি জানান সরকারপ্রধান।
এছাড়া ভাষণে ২০২৪ সালের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার এবং রোহিঙ্গা সংকট তুলে ধরেন মুহাম্মদ ইউনূস।
মন্তব্য করুন
