

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত নীরব সঙ্গী ছিলেন গৃহকর্মী ফাতেমা। সেই ফাতেমা বেগম খালেদা জিয়ার শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত পাশে ছিলেন। প্রিয় মানুষের মৃত্যুর পর থেকেই কান্না করে যাচ্ছেন ফাতেমা। তার কান্না থামছে না।
ফাতেমা বেগম শুধু একজন গৃহকর্মী ছিলেন না, দীর্ঘ ১৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি খালেদা জিয়ার নীরব সঙ্গী হিসেবে থাকেন।
কারাগারের অন্ধকার প্রোক্ষ্ঠ, গৃহবন্দিত্ব, হাসপাতালের নিঃসঙ্গ রাত এবং বিদেশ সফরে খালেদার প্রতিটি মুহূর্তে তার উপস্থিতি ছিল অবিচ্ছেদ্য।
ফাতেমা বেগম ভোলার সদর উপজেলার শাহ-মাদার গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৮ সালে স্বামীর মৃত্যুর পর দুই সন্তানকে নিয়ে ঢাকায় আসেন এবং ২০০৯ সালে খালেদা জিয়ারের বাসভবনে গৃহকর্মী হিসেবে যোগ দেন।
প্রায় দেড় দশক ধরে তিনি খালেদার দৈনন্দিন জীবন পরিচালনায় সহায়তা করেছেন এবং তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তের নীরব সাক্ষী হয়েছেন, যার মধ্যে রয়েছে কারাগার, গৃহবন্দিত্ব, হাসপাতালের নিঃসঙ্গ রাত এবং বিদেশ সফর।
ফাতেমা খালেদার দৈনন্দিন জীবনের যত্নে ছিলেন নিবেদিত। ওষুধ খাওয়ানো, শারীরিক সহায়তা, যেকোনো মুহূর্তে পাশে থাকা-সবকিছুই তার কাছে শুধুমাত্র দায়িত্ব নয়, বরং মানবিক সম্পর্কের প্রকাশ।
২০১৮ সালে খালেদা জিয়ার কারাগার জীবনের সময়ও আদালতের অনুমতিতে তিনি স্বেচ্ছায় সঙ্গে ছিলেন। ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হলে হাসপাতালের ৫৩ দিনেও তিনি অবিচল ছিলেন। সর্বশেষ লন্ডনে উন্নত চিকিৎসার সময়ও তার সঙ্গে ছিলেন ফাতেমা।
রাজনীতির উত্তাপে অনেকেই পরিচিত হলেও ফাতেমা বেগম ছিলেন ইতিহাসের নীরব সাক্ষী। তার জীবন প্রমাণ করে যে সব সম্পর্ক ক্ষমতার নয়, কিছু সম্পর্ক শুধু দায়িত্ব, মানবিকতা এবং অনুপ্রেরণার।
মন্তব্য করুন

