

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনকালে সন্ত্রাসী ড্রোন হামলায় নিহত ছয় বাংলাদেশি শান্তিরক্ষীর মরদেহ আজ স্বদেশে পৌঁছাচ্ছে। দেশে ফেরার পর রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে তাদের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন করা হবে।
গত ১৩ ডিসেম্বর সুদানের আবেই অঞ্চলে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের একটি ঘাঁটিতে ভয়াবহ ড্রোন হামলার ঘটনা ঘটে। এতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় সদস্য প্রাণ হারান এবং আরও নয়জন আহত হন। আহতদের মধ্যে যারা গুরুতর ছিলেন, তাদের কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবির আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে সবাই আশঙ্কামুক্ত বলে জানা গেছে, কয়েকজন ইতোমধ্যে হাসপাতাল ত্যাগ করেছেন। কাদুগলি লজিস্টিকস বেইসে এই হামলা সংঘটিত হয়।
নিহত শান্তিরক্ষীরা হলেন নাটোরের করপোরাল মো. মাসুদ রানা, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মমিনুল ইসলাম ও সৈনিক শান্ত মণ্ডল, রাজবাড়ীর সৈনিক শামীম রেজা, কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা মেস ওয়েটার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম এবং গাইবান্ধার বাসিন্দা লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়া।
আহতদের তালিকায় রয়েছেন কুষ্টিয়ার লেফটেন্যান্ট কর্নেল খোন্দকার খালেকুজ্জামান, দিনাজপুরের সার্জেন্ট মো. মোস্তাকিম হোসেন, ঢাকার করপোরাল আফরোজা পারভিন ইতি, বরগুনার ল্যান্স করপোরাল মহিবুল ইসলাম, কুড়িগ্রামের সৈনিক মো. মেজবাউল কবির, রংপুরের সৈনিক মোসা. উম্মে হানি আক্তার, মানিকগঞ্জের সৈনিক চুমকি আক্তার এবং নোয়াখালীর সৈনিক মো. মানাজির আহসান। আহতদের মধ্যে তিনজন নারী সদস্য রয়েছেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে শীর্ষস্থানীয় অবস্থান ধরে রেখেছে। বর্তমানে ১১৯টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম বৃহৎ শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ। বিশ্বজুড়ে সংঘাত নিরসন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রম শুরু হয়। বাংলাদেশ প্রথমবার ১৯৮৮ সালে ইরান-ইরাক সামরিক পর্যবেক্ষক মিশনে ১৫ সদস্য পাঠানোর মাধ্যমে ‘নীল হেলমেট’ পরে বিশ্বশান্তির অভিযাত্রায় যুক্ত হয়। বর্তমানে ১০টি দেশে শান্তির পতাকা বহন করে দায়িত্ব পালন করছেন বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা।
মন্তব্য করুন

