

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদি মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ৯: ৪৪ মিনিটে ওসমান হাদির ফেসবুক পেইজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদের মোকাবিলায় মহান বিপ্লবী ওসমান হাদীকে আল্লাহ শহীদ হিসেবে কবুল করেছেন।’
এদিকে মৃত্যুর আগে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ওসমান হাদি বলেছিলেন, গুলি করার আগ পর্যন্ত আমাদের কিছু গায়ে লাগে না। যতক্ষন না পর্যন্ত বুকে বা মাথায় গুলি করবে ততক্ষন পর্যন্ত আমরা স্ট্রাগল মনে করি না।
তিনি বলেন, এক্সট্রা কোনো সিকিউরিটি লাগবে না, শুধু আমাদের যদি কেউ গুলি করে মেরে ফেলে তাকে যেন ধরে বিচার করা হয়। আপনি যদি আমাদের বা আমাদের টিমকে মেরে ফেলেন এবং যদি তার বিচার করতে না পারেন তাহলে নতুন কেউ জন্মাবে না। শুধু এই জন্যেই তার বিচার করে ফেলতে হবে। কোন স্পেশাল সিকিউরিটি লাগবে না।
এরা আগে, শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার জন্য প্রচার চালাচ্ছিলেন। গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে তাকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। মাথায় গুলিবিদ্ধ হাদিকে গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নেওয়া হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে।
গত ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমান হাদিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুর নেওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছিল।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জানান, নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম মাসুদ গুলি করে পালিয়ে যান। ওই রাতেই অর্থাৎ হাদিকে গুলি করার ১২ ঘণ্টার মধ্যেই ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত দিয়ে ভারতের প্রবেশ করেন তিনি।
এ সময় তার সঙ্গে মোটরসাইকেল চালক আলমগীর শেখও তার সঙ্গে ছিলেন। তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফয়সাল ও আলমগীর দুজনিই এখন মহারাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তারা এখন বাংলাদেশের সিমও ব্যবহার করছেন না। ভারতের সিম ব্যবহার করে মোবাইল ফোন চালাচ্ছেন তারা। তবে সেটাও সব সময় না। বেশিরভাগ সময় তাদের ফোন বন্ধই পাওয়া যাচ্ছে।
মন্তব্য করুন
