

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


‘রইদ’ নামের নতুন চলচ্চিত্র নিয়ে কথা বলেছেন অভিনেত্রী নাজিফা তুষি। এর আগে তিনি মেজবাউর রহমান সুমন পরিচালিত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘হাওয়া’-তে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়ান। আসন্ন এই নতুন চলচ্চিত্রে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল তার জন্য বেশ চ্যালেঞ্জিং—এ কথা নিজেই জানিয়েছেন তুষি।
চরিত্রের বাস্তবতা ফুটিয়ে তুলতে তিনি টানা ছয় মাস চুলে শ্যাম্পু, সাবান কিংবা কোনো ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেননি। পাশাপাশি মেকআপ ছাড়াই গায়ের রং স্বাভাবিকভাবে গাঢ় করতে সরিষার তেল মেখে রোদে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকেছেন। ‘রইদ’ চলচ্চিত্রে তাকে এক ছিন্নমূল নারীর চরিত্রে দেখা যাবে।
৬ মাস সাবান-শ্যাম্পু ছাড়া নিজের এই রূপান্তর প্রসঙ্গে তুষি বলেন, ‘‘হাওয়ার চেয়ে ‘রইদ’ আমার জন্য অনেক বেশি চ্যালেঞ্জিং ছিল। চরিত্রের বিশ্বাসযোগ্যতার জন্য আমি টানা ছয় মাস চুলে শ্যাম্পু, কন্ডিশনার বা গায়ে সাবান ব্যবহার করিনি।
শুধু পানি দিয়ে গোসল করতাম। কারণ সাবান দিলে স্কিন পরিষ্কার হয়ে যায়, কিন্তু আমি চাচ্ছিলাম আমার ত্বকের পোরসগুলো দেখা যাক, মুখে মেছতা বা দাগ ফুটে উঠুক।’’
চামড়া পোড়াতে সরিষার তেল মেকআপ দিয়ে কালো না হয়ে প্রাকৃতিকভাবে রোদে পোড়া ত্বক চেয়েছিলেন তুষি।
তিনি বলেন, ‘আমি গায়ে সরিষার তেল মেখে রোদে বসে থাকতাম।
কারণ তেল মেখে রোদে গেলে দ্রুত বার্ন হয়। আমি চেয়েছিলাম চামড়া পুড়ে কয়লা হয়ে যাক। মেকআপ দিয়ে কালো করলে বৃষ্টি বা ঘামে তা ধুয়ে আসল রং বেরিয়ে আসার ভয় ছিল। তাই আমি প্রাকৃতিকভাবেই ওই অঞ্চলের মানুষের মতো হতে চেয়েছিলাম, যাতে আমাকে শহুরে মনে না হয়।’
তুষি বলেন, ‘চরিত্রটির দাঁতে এক ধরনের টেক্সচার দরকার ছিল।
এজন্য আমি পান খেতাম। কিন্তু সাধারণ পানের চুনে কাজ হচ্ছিল না বলে আমি পাথরের চুন খাওয়া শুরু করি, যা ওই এলাকার মানুষ খায়। এতে আমার মুখ ও জিহ্বা পুড়ে যেত, কথা ভারী হয়ে আসত। কিন্তু চরিত্রের জন্য সেই কষ্টটুকুও করেছি। মানুষের ব্যবহৃত পুরনো কাপড় কিনে পরেছি।’
নামহীন চরিত্র ও লেবারের কাজ নিয়ে তুষি জানান, এই সিনেমায় তিনি এমন এক চরিত্রে অভিনয় করেছেন যার কোনো নাম নেই। চরিত্রটি ধারণ করতে তিনি শুটিং স্পটে লেবারদের সঙ্গে মাটি কেটেছেন, টিলায় উঠেছেন এবং গাছ লাগিয়েছেন। এমনকি চরিত্রের পোশাকের জন্য ‘টুকের বাজার’ থেকে মানুষের ব্যবহৃত পুরনো কাপড় কিনে পরেছেন।
মন্তব্য করুন

