

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামে ধারণ করা একটি ১২ সেকেন্ডের ভিডিওকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
গত ১৫ ডিসেম্বর ভিডিওটি ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে নেটিজেনদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার নারায়ণডহর এলাকার জামিয়া বদরুল হুদা খাতুনে জান্নাত মহিলা মাদ্রাসার সামনে এক যুবক স্কেটিং করতে করতে ভ্যানে চলাচলরত এক তরুণীকে উত্ত্যক্ত করছে। একপর্যায়ে তরুণীর সঙ্গে থাকা ব্যাগ দিয়ে আঘাত করা হলে ওই যুবক তাকে বিবস্ত্র করার চেষ্টা করে।
ঘটনাটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নেটিজেনরা একে নিন্দনীয় ও সমাজের জন্য ক্ষতিকর বলে মন্তব্য করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুরো ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিতভাবে ধারণ করা হয়। ভিডিও ধারণ করেন রোমান, স্কেটিং করা যুবকের ভূমিকায় অভিনয় করেন রাকিব হাসান (২০) এবং মেয়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন হানিফ (২০)। হানিফ ও রোমান সম্পর্কে আপন দুই ভাই। তারা পূর্বধলা উপজেলার নারায়ণডহর গ্রামের ওয়াসিম মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, অভিযুক্ত দুই ভাই দীর্ঘদিন ধরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথাকথিত ‘ফানি ভিডিও’ তৈরি করে আসছিলেন। সেই ধারাবাহিকতায় আলোচিত ভিডিওটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাতাদের দাবি অনুযায়ী এটি বিনোদনের উদ্দেশ্যে তৈরি করা হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার জন্ম দেয়।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই এ ধরনের ভিডিও নির্মাণকে সমাজের জন্য ক্ষতিকর উল্লেখ করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছেন এবং তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে খেলাফত আন্দোলনের নেতা গাজী আব্দুর রহীম রুহি বলেন, “এই ধরনের ভিডিও যেন ভবিষ্যতে আর তৈরি না হয়, সে জন্য দোষীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।”
পূর্বধলা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান বুলবুল বলেন, “এ ধরনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে স্কুলপড়ুয়া ছাত্রীদের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করেছে। জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।”
পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ দিদারুল ইসলাম জানান, ঘটনার পর থেকেই অভিযুক্তরা আত্মগোপনে রয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আনিছুর রহমান খান জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পূর্বধলা থানার ওসিকে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন
