

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশে নতুন ব্যবসা শুরু করতে গেলে বিভিন্ন দপ্তরে ঘুরতে হয় এবং অনেক সময়ই উদ্যোক্তাদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়—এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী।
তিনি বলেন, আগামী বছর থেকে এই হয়রানি দৃশ্যমানভাবে কমে আসবে।
রোববার (৭ ডিসেম্বর) সকালে ‘জাতীয় এসএমই পণ্য মেলা’র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ব্যবসার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এখনো জটিল। সরকারি সেবা নিতে সরাসরি অফিসে যেতে হলে অনেক বাধার মুখোমুখি হতে হয়। এসব সমস্যা সমাধানে আগামী বছর থেকে একটি বিশেষ মোবাইল অ্যাপ চালু করা হবে, যাতে উদ্যোক্তারা অনলাইনে নিবন্ধনসহ নানা সেবা নিতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে তিনি শিল্প পার্ক, বিসিক ও বেজার আওতাধীন বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। তার মতে, এসব এলাকায় শিল্প স্থাপন হলে কৃষিজমি সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলা সাত দিনের এই মেলায় অংশ নিয়েছে প্রায় ৪০০ এসএমই প্রতিষ্ঠান।
মেলায় আলোচকরা জানান—এসএমই খাতে বর্তমানে সুদের হার প্রায় ১৫ শতাংশ, যা উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে বাড়ছে।
এনজিও থেকে ঋণ নিলে সুদ দিতে হয় প্রায় ২৫ শতাংশ পর্যন্ত, ফলে ব্যয় আরও বেড়ে যায়।
এসএমই ক্রেডিট কার্ডের কার্যক্রম শুরু হলেও তা পরিচালনা করা জটিল।
নির্বাচনী পরিস্থিতির কারণে ঋণ বিতরণসহ বেশ কয়েকটি খাত স্থবির হয়ে আছে।
ব্যাংকিং খাতে এখনো দেড় লাখ কোটি টাকার অতিরিক্ত তারল্য রয়েছে—চাহিদা বাড়লে অর্থনীতি আরও দ্রুত ঘুরে দাঁড়াবে।
আলোচনায় আরও বলা হয়, রপ্তানিমুখী এসএমই প্রতিষ্ঠানগুলোকে বন্ডেড ওয়্যারহাউসের সুবিধা নিতে হয়, কিন্তু প্রক্রিয়াটি জটিল হওয়ায় তা সহজ করার প্রস্তাব তোলা হয়।
মন্তব্য করুন

