

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পিলখানায় ভয়াবহ হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী সোহেল তাজ জোর দিয়ে আসছেন যে তিনি ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নন।
তার দাবি ছিল বিদ্রোহের সময় তিনি দেশের বাইরে অবস্থান করছিলেন। তবে সাম্প্রতিক তদন্ত নথিতে উঠে আসা একটি তথ্য নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
তদন্ত কমিশনের নথি অনুযায়ী, ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগে ২০০৯ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি সোহেল তাজের জন্য বিডিআর পোশাক তৈরির কাজ শুরু হয়েছিল। এ তথ্য দেন দুই সাক্ষী: হাবিলদার জসিম উদ্দিন খান ও বিডিআর দর্জি আছিফুর রহমান আকাশ।
হাবিলদার জসিম উদ্দিন জানান তৎকালীন প্রতিমন্ত্রীর জন্য একটি বিডিআর ইউনিফর্ম বানানোর নির্দেশ আসে। অন্যদিকে দর্জি আকাশ বলেন, মেজর মোস্তাকের নির্দেশে তিনি ওই দিন সোহেল তাজের কার্যালয়ে গিয়ে তার দেহের মাপ নেন এবং পরে পোশাকটি তৈরিও করেন। মাপ নেয়ার সময় তার সঙ্গে ছিলেন ডিএডি তৌহিদ, যিনি পরবর্তীতে বিদ্রোহের অন্যতম মূল নেতৃত্বে থাকেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
আকাশ জানান, পোশাকটিতে কোনো র্যাংক যুক্ত করা হয়নি, তবে ডিপ সাইন বা বাহিনীর চিহ্ন ছিল। ইউনিফর্মটি হস্তান্তরের সময় তার সঙ্গে সোহেল তাজের দেখা হয়নি বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সোহেল তাজ কেন এমন পোশাক বানাচ্ছেন এ প্রশ্ন সেই সময় বিডিআরের বিভিন্ন কর্মকর্তার মধ্যে কৌতূহল তৈরি করেছিল বলে তদন্তে উঠে এসেছে। আকাশ জানান, শহীদ কর্নেল আনিস, মেজর হুমায়ুনসহ অনেকে পোশাকটি দেখেছিলেন।
২০০৯ সালের ২৫–২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নির্মমভাবে নিহত হন। এই মর্মান্তিক ঘটনার তদন্ত প্রায় ১১ মাস ধরে চলে এবং পরে গঠিত জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন তাদের প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার কাছে জমা দেয়।
মন্তব্য করুন

