

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বর্তমান সময়ে বিশ্বজুড়ে ‘গ্রিন ফ্যামিলি’ বা সবুজ পরিবারের ধারণা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এমন পরিবারগুলো পরিবেশবান্ধব ও টেকসই জীবনধারায় বিশ্বাস করে এবং দৈনন্দিন অভ্যাসের মধ্য দিয়েই প্রকৃতির ওপর ক্ষতিকর প্রভাব কমানোর চেষ্টা করে।
সবুজ পরিবারের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো জ্বালানি ব্যবহারে সচেতনতা। তারা অপ্রয়োজনীয় আলো বা বৈদ্যুতিক যন্ত্র চালু রাখে না, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী বাতি ব্যবহার করে এবং সম্ভব হলে এসির পরিবর্তে প্রাকৃতিক আলো ও বাতাসের ওপর নির্ভর করে। পাশাপাশি বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও সৌরশক্তি ব্যবহারের দিকেও তারা গুরুত্ব দেয়।
এই পরিবারগুলো সাধারণত ‘রিডিউস, রিইউজ, রিসাইকেল’—এই তিন নীতিকে জীবনযাপনের অংশ করে নেয়। অকারণে নতুন জিনিস কেনার বদলে পুরোনো জিনিসের পুনঃব্যবহারকে তারা অগ্রাধিকার দেয়। ব্যবহৃত প্লাস্টিক, কাপড় বা অন্যান্য সামগ্রী দিয়ে নতুন কিছু তৈরি করা কিংবা প্রয়োজন নেই এমন জিনিস অন্যদের দিয়ে দেওয়াও তাদের অভ্যাসের মধ্যে পড়ে।
খাদ্যাভ্যাসের ক্ষেত্রেও সবুজ পরিবারগুলো সচেতন থাকে। প্রক্রিয়াজাত বা প্যাকেটজাত খাবারের পরিবর্তে তারা তাজা ও মৌসুমি ফলমূল ও শাকসবজি পছন্দ করে। খাবার নষ্ট না করে রান্নার উচ্ছিষ্ট অংশ থেকে জৈব সার তৈরি করে তারা পরিবেশের উপকারে লাগায়।
চলাচলের সময় ব্যক্তিগত গাড়ির ওপর নির্ভরতা কমিয়ে হাঁটা কিংবা সাইকেল ব্যবহারে আগ্রহী হয় এসব পরিবার। এতে একদিকে স্বাস্থ্য ভালো থাকে, অন্যদিকে কার্বন নিঃসরণও কমে।
কেনাকাটার সময় তারা প্রয়োজনের বাইরে কিছু না কেনার চেষ্টা করে। ঘর, বারান্দা বা ছাদে গাছপালা লাগিয়ে সবুজ পরিবেশ তৈরি করাও তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। গাছের উপস্থিতিতে ঘর স্বাভাবিকভাবেই ঠান্ডা থাকে এবং বাতাস থাকে পরিষ্কার।
প্রকৃতির সঙ্গে সময় কাটানো, পশুপাখির প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া এবং পরিবেশ রক্ষায় সচেতন ভূমিকা রাখা—এসবই একটি আদর্শ সবুজ পরিবারের পরিচয়। এমন জীবনচর্চা শুধু একটি পরিবারের জন্য নয়, বরং ভবিষ্যৎ পৃথিবীকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা রাখে।
মন্তব্য করুন

