

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ইনস্টাগ্রামে কনটেন্ট নির্মাতা লুইস গানসনের একটি পোস্ট ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। সেখানে তিনি জানান, সম্প্রতি তিনি এক পেশাদার পকেটমারের সঙ্গে আলাপ করেছিলেন।
সেই কথোপকথনের ভিত্তিতে তিনি জানার চেষ্টা করেন পকেটমাররা ঠিক কারাকে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তু বানায়। পোস্টটি ইতোমধ্যেই ১২ মিলিয়নের বেশি মানুষ দেখেছেন।
লুইসের কথায়, ধারণা করা হয় যে ধনী দেখায় এমন ব্যক্তিরাই চোরদের টার্গেট হন। কিন্তু বাস্তবে পকেটমাররা দেখে কে সবচেয়ে অসাবধান এবং কার কাছ থেকে চুরি করা সবচেয়ে সহজ। তাদের লক্ষ্যবস্তু নির্ধারণের মূল মাপকাঠি—অমনোযোগী মানুষ।
নিচে দেখে নিন যাদের দিকে পকেটমাররা বেশি নজর রাখে:
১. যারা ফোনে ডুবে থাকেন
চারপাশে মনোযোগ না দিয়ে বারবার ফোন চেক করা বা হাঁটতে হাঁটতে স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে এই ব্যক্তিরা সাধারণত ঝুঁকিতে থাকেন। পকেটমাররা এমন মুহূর্তের সুযোগ নিতে সময় নেন না।
২. যারা পেছনের পকেটে মোবাইল বা মানিব্যাগ রাখেন
পেছনের পকেটে মূল্যবান জিনিস রাখা সবচেয়ে বড় ভুলগুলোর একটি। লুইসের কথোপকথনে ওই পকেটমার বলেন, “পেছনের পকেট আমাদের জন্য যেন খোলা আমন্ত্রণ।” ব্যাগের চেইন খোলা থাকলেও একই ঝুঁকি থাকে।
৩. যাদের দেখে বিভ্রান্ত বা চিন্তিত মনে হয়
মনোযোগ ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলে চারপাশ নজরে আসে না। ফলে এই ধরনের মানুষ সহজেই চোরের লক্ষ্যবস্তু হয়ে যায়।
৪. যারা সবসময় তাড়াহুড়া করেন
দৌড়ে চলা বা ব্যস্ত মনে হওয়া অনেকেরই অভ্যাস। তবে হুড়োহুড়ির সময় নিজের মালপত্রের দিকে খেয়াল কম থাকে—যা পকেটমাররা কাজে লাগায়।
৫. ঢিলেঢালা পোশাক পরিহিত ব্যক্তি
ঢিলেঢালা জ্যাকেট বা পোশাকে হাত ঢোকানো খুব সহজ হয়। ভুক্তভোগীও অনেক সময় টের পান না কীভাবে জিনিসপত্র গায়েব হলো।
৬. যারা জনসমাগমে নিজের মূল্যবান জিনিস বারবার স্পর্শ করেন
চোরেরা এতে বুঝে ফেলে কোন জায়গায় কী রাখা আছে। তারপর সুযোগ পেলেই হাত বাড়ায়।
৭. দলে থাকা সত্ত্বেও যারা অসচেতন
গণসমাগমে বা গ্রুপে থেকেও অনেকে পক্ষাঘাতগ্রস্তের মতো অমনোযোগী থাকেন। পকেটমারদের মতে, এরা সবচেয়ে সহজ শিকার—কারণ তারা পাশে কেউ ঘেঁষলেও বুঝতে পারেন না এবং চুরি হওয়ার পর অনেক সময় দেরিতে টের পান।
মন্তব্য করুন

