

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


প্লট বরাদ্দ সংক্রান্ত তিনটি মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
তার পরিবারের অন্য দুই সদস্য- সন্তান সজীব ওয়াজেদ জয় ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল- প্রত্যেককে এক একটি মামলায় পাঁচ বছর করে সাজা দেওয়া হয়েছে।
ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন বৃহস্পতিবার এই রায় ঘোষণা করেন।
শেখ হাসিনা পরিবারের বাইরে আরও ২০ জন আসামি রয়েছেন, যাদের মধ্যে বর্তমানে গ্রেপ্তার হয়েছেন শুধু রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম।
২৯ অক্টোবর আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে তা বাতিল করা হয়। আদালতের নির্দেশে তিনি লঘু শাস্তি হিসেবে তিন মামলায় এক বছর করে মোট তিন বছরের কারাদণ্ড ভোগ করবেন।
মামলায় অন্যান্য মূল আসামিদের মধ্যে রয়েছেন:
সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ- তিন মামলায় ৬ বছর করে মোট ১৮ বছর কারাদণ্ড।
সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার- তিন মামলায় ৬ বছর করে মোট ১৮ বছর।
সাবেক সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন- তিন মামলায় ৬ বছর করে মোট ১৮ বছর।
সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার- তিন মামলায় ৬ বছর করে মোট ১৮ বছর।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন- দুই মামলায় ৬ বছর করে মোট ১২ বছর।
প্রথম মামলাটি ১৪ জানুয়ারি দায়ের করা হয়। শুরুতে আটজনকে অভিযুক্ত করা হয়, তদন্ত শেষে সংখ্যা বেড়ে ১২ জন হয়।
এতে রয়েছেন পুরবী গোলদার, খুরশীদ আলম, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, নায়েব আলী শরীফ, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
দ্বিতীয় মামলায় ১৭ জনকে চার্জশিটভুক্ত করা হয়, যাতে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়ও রয়েছেন। অন্যান্য আসামি হলেন- সাইফুল ইসলাম সরকার, পুরবী গোলদার, কাজী ওয়াছি উদ্দিন, শহিদ উল্লাহ খন্দকার, আনিছুর রহমান মিঞা, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
তৃতীয় মামলায় শেখ হাসিনা ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৮ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। অভিযোগে রয়েছে জাল রেকর্ডপত্র তৈরি, সরকারি প্লট অবৈধভাবে গ্রহণ এবং সরকারি সম্পত্তি আত্মসাতের সুযোগ তৈরি।
অন্যান্য আসামি হলেন- কবির আল আসাদ, তন্ময় দাস, নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন, হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ।
মন্তব্য করুন

