

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ছাত্রশিবির করার কারণে জালিয়াতির অভিযোগ এনে মাস্টার্সের ফলাফল স্থগিত রাখা হয়েছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের।
স্নাতকে তিনি ছিলেন ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। ২০১৩ সালে স্থগিত হওয়া সেই ফল আজ প্রকাশ করা হয়েছে। এতে তিনি বিভাগে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এবং সিজিপিএ ৪ অর্জন করেছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী রফিকুল ইসলামের মাস্টার্সের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হয়েছে বুধবার।
দীর্ঘ এক দশক ধরে নানা জটিলতা পেরিয়ে তিনি সিজিপিএ ৪.০০ অর্জন করেছেন।
রফিকুল ২০০৭-২০০৮ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হন এবং প্রথম বর্ষেই পরীক্ষায় প্রথম স্থান লাভ করেন।
পরবর্তীতে রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে তিনি গ্রেপ্তার হন এবং কারাগারে থাকলেও পরীক্ষা দিয়ে প্রথম হন। অনার্সে ৩.৮০ সিজিপিএ পেয়ে গোল্ড মেডেল অর্জন করেন।
২০১৪ সালে শিক্ষার্থী হিসেবে কিছু প্রশাসনিক জটিলতার কারণে তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়। তবে ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে রেজিস্ট্রেশন পুনর্বহালের আবেদন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রিভিউ কমিটি গঠন করে থিসিস পুনঃমূল্যায়ন শেষে ছাত্রত্ব ফেরত দিয়ে মাস্টার্সের সনদ প্রদানের সিদ্ধান্ত নেয়।
ফল প্রকাশের পর রফিকুল ইসলাম বলেন, “২০১৫ সালে ছাত্রত্ব বাতিলের পর আমি আল্লাহর কাছে দোয়া করেছি। মহান রব আমার প্রাপ্য সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই সম্মান ফিরে পেতে যারা পাশে ছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।”
তিনি আরো বলেন, ‘এভাবে ছাত্রশিবিরের কত ভাই যে শুধু একাডেমিক হ্যারাসমেন্টের শিকার হয়েছে তার ইয়ত্তা নেই।
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে গেছে কিন্তু সার্টিফিকেট ওঠাতে দেয়নি এরকম ভাইয়ের সংখ্যা ভূরি ভূরি।
ছাত্রশিবিরের ত্যাগ-তিতিক্ষার শেকড় এই ক্যাম্পাসে অনেক গভীর। আমাদের বিজয় তাদের স্যাক্রিফাইসের ওপর দাঁড়িয়ে।’
রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, “রফিকুল ইসলামের ওপর করা দীর্ঘ রাজনৈতিক ও একাডেমিক চাপের পর তার সাফল্য প্রকাশিত হলো। তার অনুকরণীয় অধ্যবসায় নতুন প্রজন্মকে প্রেরণা দেবে।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন জানান, “রফিকুলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছিল, সংশ্লিষ্ট পাঁচজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আজকের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সেই কমিটির অধীনে।”
মন্তব্য করুন
