

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


চলতি বছরের ডিসেম্বরের শেষ দিকে জাতীয় বেতন কমিশন তাদের পূর্ণাঙ্গ সুপারিশ প্রতিবেদন সরকারকে জমা দিতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মোট কাজের প্রায় অর্ধেকেরও বেশি সম্পন্ন হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের মতামত গ্রহণের মাধ্যমে কমিশন সুপারিশ চূড়ান্ত করা শুরু করবে।
কমিশনের সদস্য ড. মোহাম্মদ আলী খান গণমাধ্যমকে জানান, অনলাইনে যে ১৫ পৃষ্ঠার তথাকথিত সুপারিশপত্র ভাইরাল হয়েছে, তা কমিশনের তৈরি নয়।
তাঁর ভাষায়, “ওই নথি সম্পূর্ণ ভুয়া। আমাদের কাছে এমন কোনো খসড়া নেই। রিপোর্ট নিয়ে আমরা দ্রুত কাজ করছি এবং এখনো গুরুত্বপূর্ণ পক্ষগুলোর মতামত নেওয়া বাকি।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া নথিতে ২০ গ্রেডের বেতন কাঠামো অপরিবর্তিত রাখা, বিভিন্ন গ্রেডে বেতন–ভাতা বৃদ্ধি এবং ইনক্রিমেন্ট সংশোধনের তথ্য দেখা গেলেও কমিশন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে—এসব কোনোই অফিসিয়াল তথ্য নয়।
তারা বলছে, বেতন কাঠামোর কোনো অংশ চূড়ান্ত হয়নি এবং কমিশনের অনুমোদন ছাড়াই ঘুরে বেড়ানো এসব নথি সাধারণ চাকরিজীবীদের বিভ্রান্ত করছে।
অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সম্প্রতি জানান, জাতীয় নির্বাচনের পর নতুন সরকার দায়িত্ব নিলে পে স্কেল বাস্তবায়নের কাজ এগিয়ে নেওয়া হবে।
অন্যদিকে, বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী দাবি আদায় ঐক্য পরিষদ ঘোষণা দিয়েছে—১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নবম পে স্কেলের গেজেট প্রকাশ না হলে তারা কঠোর কর্মসূচিতে যাবে। তাদের দাবি হলো, বিষয়টি নভেম্বরের মধ্যেই চূড়ান্ত করতে হবে।
উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসের শেষে সাবেক অর্থসচিব জাকির আহমেদ খানকে চেয়ারম্যান করে ২৩ সদস্যের জাতীয় বেতন কমিশন–২০২৫ গঠন করা হয়। গঠনের সময় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল—প্রথম বৈঠকের ছয় মাসের মধ্যে কমিশনকে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।
আগামী ২৪ নভেম্বর সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সচিবদের সঙ্গে কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, যা নতুন বেতন কাঠামো প্রণয়নের প্রক্রিয়াকে আরও এগিয়ে নেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
