

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত বিধিমালায় পরিবর্তন এনেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগে বিষয়ভিত্তিক ভাগের ক্ষেত্রে নতুন শব্দ সংযোজন করা হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পূর্বের “অন্যান্য বিষয়ে” শব্দগুচ্ছের পরিবর্তে “বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন” শব্দ ব্যবহার করা হবে।
এর আগে, ২০২৫ সালের ২৮ আগস্ট প্রকাশিত বিধিমালার ৭ নম্বর বিধির উপ-বিধি (২)-এর দফা (খ)-এ বলা হয়েছিল, সরাসরি নিয়োগযোগ্য ৯৩ শতাংশ পদ মেধাভিত্তিক প্রার্থীদের দ্বারা পূরণ করা হবে। এর মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী ও ৮০ শতাংশ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারী প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে। নতুন সংশোধনে “বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন” শব্দ সংযোজনের মাধ্যমে এ অংশে পরিবর্তন আনা হয়েছে।
এছাড়া বিধিমালার তফসিল-১-ও হালনাগাদ করা হয়েছে, যেখানে শিক্ষক নিয়োগের পদ্ধতি, যোগ্যতা ও শর্তাবলি বিস্তারিতভাবে উল্লেখ রয়েছে।
সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী:
মোট ৯৩ শতাংশ পদ মেধাভিত্তিকভাবে পূরণ করা হবে।
এর মধ্যে ২০ শতাংশ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রিধারীদের জন্য, এবং বাকি ৮০ শতাংশ বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে স্নাতক প্রার্থীদের জন্য নির্ধারিত থাকবে।
মুক্তিযোদ্ধা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনা পরিবারের সদস্যদের জন্য ৫ শতাংশ কোটা বহাল থাকবে।
নিয়োগ প্রক্রিয়া উপজেলা বা থানাভিত্তিকভাবে সম্পন্ন হবে।
বিধিমালায় আরও বলা হয়েছে, নিয়োগের পর শিক্ষকরা নির্ধারিত শিক্ষানবিশি মেয়াদ শেষে সন্তোষজনক কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করলে স্থায়ী নিয়োগ পাবেন। তবে কেউ ব্যর্থ হলে তাকে পূর্বের পদে ফেরত পাঠানো বা চাকরি বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের হাতে।
এছাড়া নিয়োগের পর চার বছরের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করা বাধ্যতামূলক। যারা ৫০ বছর বয়সে পদোন্নতি বা স্থায়ী হওয়ার যোগ্য হবেন, তাদের ক্ষেত্রে পরীক্ষার ও প্রশিক্ষণের শর্ত আংশিকভাবে শিথিল করা যেতে পারে।
আরও উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমানে ১২তম গ্রেডে কর্মরত প্রশিক্ষণবিহীন প্রধান শিক্ষকরা বেতন উন্নীত হওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে মৌলিক প্রশিক্ষণ শেষ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ে প্রশিক্ষণ সম্পন্ন না হলে তাদের বেতন গ্রেড নিম্নতর স্তরে নামিয়ে আনা হবে।
মন্তব্য করুন
