শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শুক্রবার
৩১ অক্টোবর ২০২৫, ১৫ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

তিস্তার ভাঙন ও বন্যায় গবাদিপশুর খাদ্য সংকট, বিপাকে খামারিরা

কালীগঞ্জ (লালমনিরহাট) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১০:৩৯ এএম
গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে
expand
গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে

সময়-অসময়ে তিস্তার ভাঙন ও আকস্মিক বন্যায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক কৃষক ও খামারিরা। খামারিদের দাবি, অন্তত ২০ হাজার গবাদিপশু বর্তমানে খাদ্য সংকটে রয়েছে।

গত ১৭ আগস্ট থেকে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় লালমনিরহাটের খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা, মহিষখোচা, বৈরাতী, ভোটমারী, শৌলমারী, কাকিনা, সিন্ধুর্ণা, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ি ও দহগ্রামসহ অন্তত ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েন। বহু সড়ক ডুবে যাওয়ায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় যোগাযোগ ব্যবস্থা।

এ বন্যায় গরু, মহিষ, ছাগলসহ বেশ কিছু পশু মারা গেছে; পচে গেছে নেপিয়ারসহ বিভিন্ন ঘাসের জমি। খাদ্যের অভাবে পশু অসুস্থ হয়ে পড়ছে, খামারিরা হিমশিম খাচ্ছেন। পাঁচ থেকে সাত দিন ধরে প্লাবিত এলাকায় শুকনো খড়ের গাদাগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে।

স্থানীয় কৃষক জহিরুল ইসলাম জানান, ‘‘পানি অনেকদিন ধরে জমে থাকায় গরুর ঘাস পচে গেছে। বাজার থেকে খড় কিনে কয়েক কিলোমিটার দূর থেকে আনতে হচ্ছে, তবু পুরো চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না।’’

গরু খামারি শফিয়ার রহমান বলেন, ‘‘পঞ্চাশটি গরুর জন্য দুই একর জমিতে ঘাস চাষ করেছিলাম। সবকিছু পানিতে পচে গেছে। এখন গরুর খাদ্য যোগান দিতে গিয়ে বিপদে পড়েছি।’’

মহিষখোচা এলাকার কৃষক রহিম মিয়া জানান, ‘‘একটি গাভী ও একটি বাচুরের জন্য শুকনো খাওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেই। ভাতের মাড় আর সামান্য ভুসি মিশিয়ে কোনোমতে খাওয়াচ্ছি, কিন্তু তাতে গরু শুকিয়ে যাচ্ছে।’’

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. জাহাঙ্গীর আলম জানান, আগস্টের বন্যায় অন্তত ১৫–২০টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। অনেক শুকনো খাবার ও কাঁচা ঘাস নষ্ট হয়ে গেছে। জেলার প্রায় দশ লাখ গবাদিপশুর মধ্যে প্রায় ২০ হাজার পশু খাদ্য সংকটে রয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারি ও কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে এবং রোগ-বালাই ঠেকাতে মেডিকেল টিম মোতায়েন করা হয়েছে।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন