

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


ধর্ষণ-নির্যাতনের মামলায় বাদীকে বিয়ে করেও এখনো ‘নিস্তার’ পাননি গায়ক মাঈনুল আহসান নোবেল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডেমরা থানার পরিদর্শক মুরাদ হোসেন ২৯ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।
এতে বলা হয়েছে, বাদীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে রাখতেন নোবেল। নেশাগ্রস্ত হয়ে ওই তরুণীকে মারধরও করতেন।
মামলার অভিযোগপত্র আগামী ২৮ ডিসেম্বর ঢাকার মহানগর হাকিম মেহেদী হাসানের আদালতে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রসিকিউশন বিভাগের এসআই ইলামনি।
যোগাযোগ করা হলে তদন্ত কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ধর্ষণ মামলা, পর্ণোগ্রাফি আইনের মামলা আপসযোগ্য না। তারা হয়তো আপস করেছেন। কিন্তু এ সংক্রান্ত কোনো কাগজ দেননি।
‘নোটিস দিয়ে ডাকা হলেও তারা আসেননি। মামলা তদন্ত শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অভিযোগপত্র দিয়েছি। এরপর বাকি বিষয় আদালত দেখবেন।’
গত ১৯ মে নোবেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন ইডেন কলেজের এক ছাত্রী, যাকে কারাগারে বসেই বিয়ে করেন নোবেল। গত ১৯ জুন হওয়া বিয়েতে কাবিন ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। এর পরপরই জামিনে কারামুক্ত হন নোবেল।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই তরুণীর সঙ্গে নোবেলের পরিচয়ের পর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
২০২৪ সালের ১২ নভেম্বর নোবেল তার স্টুডিও দেখানোর কথা বলে মেয়েটিকে ডেমরায় তার বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তাকে আটকে রাখেন, মোবাইল ফোন ও টাকা কেড়ে নেন।
এরপর নোবেল তাকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করেন। কথামতো না চললে ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার ভয়ও দেখান নোবেল।
অভিযোগে বলা হয়, ওই তরুণীকে ছয় মাস ধরে ডেমরার ওই বাসায় আটকে রাখা হয়, মারধর করা হতো প্রায়ই।
দুই-তিন জনের সহায়তায় বাদীকে চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে একটি কক্ষে আটকে রাখেন নোবেল।
ওই ঘটনার ভিডিও ছড়ালে বাদীর বাবা-মা তাকে চিনতে পারে। এরপর তার পরিবার পুলিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, নোবেল তার বসতঘরে বাদীকে আটক রেখে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে রাখেন।
নোবেলের কথামতো তার বাসায় বাদী না থাকলে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়।
এ কারণে বাদী ভয়ে কাউকে কোনো কিছু বলার সাহস পাননি। নোবেল নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বিভিন্ন সময়ে তাকে মারপিট করেছেন।
তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে বলেছেন, সোর্স নিয়োগসহ ‘সর্বাত্মক প্রচেষ্টা’ চালিয়েও আসামির সহযোগীদের নাম-ঠিকানা উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি।
অদূর ভবিষ্যতে তাদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করা সম্ভব হলে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেওয়া হবে।
সার্বিক বিষয়ে জানতে নোবেলের স্ত্রী, মামলার বাদীর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নোবেলের আইনজীবী মোসতাক আহমেদ বলেন, “মামলাটা আপস হয়ে গেছে। তারা বিয়ে করে একসাথে সংসার করছেন।
“মাসখানেক আগে তাদের একটা ছেলে বাচ্চার জন্ম হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করে অভিযোগপত্র দিয়েছি। মামলাটা প্রত্যাহারের আবেদন করব।”
মন্তব্য করুন

