

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ছবি নজর কাড়ছে। এসব ছবির বিশেষ দিক হলো- কারও গালে, কারও হাতে কিংবা শরীরের অন্য অংশে লেখা বিভিন্ন সংখ্যা।
‘৯’, ‘২৪’, ‘৭২’, ‘১০০০’, ‘৯৯+’—এ ধরনের সংখ্যাগুলো নিয়ে আলোচনা চলছে অনলাইনে। অনেকে জানতে চাইছেন, সংখ্যাগুলোর পেছনে আসল বার্তাটি কী?
২৫ নভেম্বর অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা প্রথম নিজের গালে লেখা ‘৯’—সংখ্যা সম্বলিত একটি ছবি ফেসবুকে শেয়ার করেন। ক্যাপশনে তিনি লেখেন,
“সংখ্যা নয়, এটি আমাদের গল্পের অংশ। তোমার সংখ্যাটা কী? আওয়াজ তোলো।”
তিনি ব্যাখ্যা করেন- কোনো নারীর বিরুদ্ধে করা প্রতিটি অনাকাঙ্ক্ষিত মন্তব্য, আঘাত ও অপমান অনেক সময় একটি ক্ষুদ্র সংখ্যার মধ্যেই লুকিয়ে থাকে। তাই এসব সংখ্যা শেয়ার করে ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতেই এই উদ্যোগ।
তিশার পোস্টের পর একে একে আরও অনেকে যুক্ত হন।
আশনা হাবিব ভাবনা নিজের গালে লিখেছেন ‘৯৯’।
শবনম ফারিয়ার ছবিতে দেখা যায় ‘১০০০’।
চিত্রনায়িকা দীঘির ছবিতে ‘৩’।
অভিনেত্রী মৌসুমী হামিদের গালে লেখা ‘৭২’।
রুনা খান নিজের হাতে লিখেছেন ‘২৪’।
মৌসুমী হামিদ তার পোস্টে লেখেন, “লোকজন বলত- এড়িয়ে যাও। কিন্তু মন্তব্যগুলো বেড়েই গেছে। প্রতিটি সংখ্যা আমার অভিজ্ঞতার একেকটি অধ্যায়। এবার আমরা সবাই মিলে বলি—থামো।”
অন্যদিকে অভিনেত্রী রুনা খান জানান, “আজকেই আমি ২৪টি হয়রানিমূলক মন্তব্য পেয়েছি। এই সংখ্যা শুধু সংখ্যা নয়—এর ভেতর আছে কষ্ট, লড়াই এবং জয়ের গল্প।”
এই ধারাবাহিক পোস্টগুলোর লক্ষ্য একটাই- নারীদের বিরুদ্ধে চলমান ডিজিটাল হয়রানিকে দৃশ্যমান করা এবং অভিজ্ঞতা সংখ্যার মাধ্যমে তুলে ধরে সবাইকে সচেতন করা।
অভিনেত্রীরা সবাই একই আহ্বান জানাচ্ছেন- নিজের অভিজ্ঞতার সংখ্যাটি শেয়ার করুন, একসঙ্গে দাঁড়াই ডিজিটাল সহিংসতার বিরুদ্ধে।
মন্তব্য করুন
