

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ফলাফল রাত পেরিয়ে সকালেও ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি। ফলে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বাড়ছে।
এর আগে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান। সিদ্ধান্ত হয়েছিল জনবল বাড়িয়ে রাতের মধ্যেই ফল ঘোষণা করা হবে। কিন্তু সকাল পর্যন্ত গণনা শেষ হয়নি। হল সংসদের ভোট হাতে গণনা করে শেষ হলেও এখনও চলছে কেন্দ্রীয় সংসদের ভোট গণনা।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে রাত ১০টায় গণনা শুরু হয়। শুক্রবার ভোর পর্যন্তও ফলাফল প্রকাশ করতে পারেনি প্রশাসন। নির্বাচন কমিশনের দাবি, ওএমআর মেশিন বাদ দিয়ে হাতে গণনা করায় সময় বেশি লাগছে।
শিবির-সমর্থিত প্যানেলের জিএস প্রার্থী মাজহারুল ইসলাম অভিযোগ করেন, বিএনপিপন্থী কিছু শিক্ষক ইচ্ছাকৃতভাবে ফলাফল বিলম্ব করছেন। স্বতন্ত্র প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতুও একই অভিযোগ করেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা সুলতানা আক্তার বলেন, এই গতিতে তিন দিনেও ফলাফল ঘোষণা করা যাবে না।
এদিকে ছাত্রদলের চাপে ওএমআর মেশিন বাতিল করায় নির্বাচন অকার্যকর হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ তুলেছে শিবির-সমর্থিত প্রার্থীরা।
অন্যদিকে বামপন্থী ছাত্র সংগঠন ও ছাত্রদল বিভিন্ন অনিয়ম তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। কয়েকজন বিএনপিপন্থী শিক্ষকও বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
বর্তমানে সিনেট ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। তাদের দাবি, মেশিনে ভোট গণনা চালু করে দ্রুত ফল ঘোষণা করতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুরো ক্যাম্পাসে এক হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী মোতায়েন করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. জাকির আহমেদ জানিয়েছেন, সিনেট ভবনসহ পুরো ক্যাম্পাসে পুলিশ কঠোর অবস্থানে রয়েছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ১১ হাজার ৭৫৯ জন। ভোট দিয়েছেন প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। এর মধ্যে ভিপি পদে ৯ জন, জিএস পদে ৮ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নারী প্রার্থী রয়েছেন ৬ জন।
মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল নির্বাচনে অংশ নিলেও ভোটগ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে পাঁচটি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। তাদের মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল, প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’। এছাড়া ছাত্র ফ্রন্টের একটি অংশ ও কয়েকজন স্বতন্ত্র প্রার্থীও বর্জন করেছেন।
এই নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ শিক্ষার্থী ভোট দেওয়ার সুযোগ পান। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছিল।
মন্তব্য করুন

