

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস-২০২৫’ পালিত হয়েছে।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্রশাসনিক ভবন-১’ এর সামনে থেকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে ক্যাম্পাসে শোভাযাত্রা বের করা হয়।
শোভাযাত্রা শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের মিনি অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় ‘জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ সিদ্দিকী এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আ ফ ম জাকারিয়া।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী বলেন, “১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর ইতিহাসের মহানায়ক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে তার ক্যান্টনমেন্টের বাসায় যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল আমার। সেটি কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের বিলাসবহুল বাসা ছিল না, বরং সাধারণ এক সেনা কর্মকর্তার বাসা মনে হয়েছিল। পরবর্তীতে ফ্যাসিস্ট সরকার সেই বাসাটিও ভেঙে দিয়েছিল।”
তিনি আরও বলেন, “শহীদ জিয়া খুব সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ফ্যাসিস্ট সরকার তাকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল। কিন্তু ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। তিনি ছিলেন জনগণের ভালোবাসার মানুষ। তাঁর জানাজায় লাখো মানুষের সমাগমই সেই ভালোবাসার প্রমাণ।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান অধ্যাপক মো. মিজানুর রহমান। এতে আরও বক্তব্য রাখেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ইসমাইল হোসেন, গণিত বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আশরাফ উদ্দিন, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ মো. আতিকুল হক প্রমুখ।
পরে আলোচনা সভা শেষে বাদ জুমা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
মন্তব্য করুন