সোমবার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সোমবার
২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

ঢাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ পিএম
expand
গণতান্ত্রিক রূপান্তরে ধৈর্য ও সহনশীলতার প্রয়োজন: ঢাবি উপাচার্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেছেন "গণতন্ত্র কোনো চূড়ান্ত গন্তব্য নয়; এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া,এই যাত্রায় অনিশ্চয়তা অনিবার্য, তবে ধৈর্য ও সহনশীলতার মধ্য দিয়েই গণতন্ত্রকে টেকসই করা সম্ভব।"

সোমবার (২৯ ডিসেম্বর)ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের অধ্যাপক মুজাফফর আহমদ চৌধুরী অডিটোরিয়ামে “রূপান্তরকে শক্তিশালী করা, গণতন্ত্র গড়ে তোলা”প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন (PPSRF) কর্তৃক আয়োজিত দুই দিনব্যাপী এক সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।

সম্মেলনে গণ-অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণ, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার, মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং সহনশীল সমাজ গঠনের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করা হয়।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতায় ‘রূপান্তর’ বলতে মূলত রাজনৈতিক ও সামাজিক অনিশ্চয়তার সঙ্গে মোকাবিলা করাকে বোঝায়, যার কোনো সহজ বা তাৎক্ষণিক সমাধান নেই।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচন, সংস্কারের স্থায়িত্ব, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার-এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে বহুমাত্রিক ও আন্তঃবিষয়ক আলোচনার বিকল্প নেই। এ ধরনের সম্মেলনই গণতন্ত্রকে নতুনভাবে বোঝার ক্ষেত্র তৈরি করে।

উপাচার্য আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, প্রতিকূলতার মধ্যেও বাংলাদেশ একটি সহনশীল ও আশাবাদী জাতি হিসেবে নিজেদের প্রমাণ করেছে। এই সম্মেলন দেশের গণতান্ত্রিক যাত্রাকে নতুন আলোয় দেখার সুযোগ সৃষ্টি করবে এবং একটি দীর্ঘমেয়াদি বুদ্ধিবৃত্তিক নেটওয়ার্ক গড়ে তুলবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান।

সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন পলিটিক্যাল অ্যান্ড পলিসি সায়েন্স রিসার্চ ফাউন্ডেশন (PPSRF)-এর সভাপতি ও সম্মেলনের আহ্বায়ক অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান। উদ্বোধনী পর্বে বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ভিডিও বার্তায় তাঁর বক্তব্য প্রদান করেন।

আয়োজকরা জানান, সম্মেলনের জন্য জমা পড়া প্রায় ১৬৫টি গবেষণাপত্রের মধ্য থেকে বাছাই করে ৬৭টি প্রবন্ধ উপস্থাপনের জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে। এতে অনলাইনে প্রায় ২০টি দেশের প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছেন এবং বিশ্বের প্রায় ৩৫টি দেশ এই সম্মেলনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করেছে। উদ্বোধনী পর্ব শেষে প্যানেল আলোচনার মাধ্যমে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।

এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের কৌশলগত অংশীদার হিসেবে রয়েছে আন্তর্জাতিক রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতি (IPSA) -এর গবেষণা কমিটি ( RC ৪৮ ও RC ১৩), বাংলাদেশ সামাজিক বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ (BSSRC), বাংলাদেশ রাষ্ট্রবিজ্ঞান সমিতি (BPSA), শ্যাডো রিফর্মস কমিশন (SRC), শ্যাডো ন্যাশনাল কনসেনসাস কমিশন (SNCC) এবং দ্য ইয়াং লার্নার্স স্টাডি সেন্টার (YLSC)।

google news সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

X