

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


রেজিস্ট্রার দপ্তরের ‘অব্যবস্থাপনা ও অদক্ষতা’ নিয়ে চলমান ক্ষোভ এবার পুরোপুরি বিস্ফোরিত হয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে।
উপাচার্যের বাসভবনে মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় সিন্ডিকেট মিটিং শুরু হতেই তার সামনের সড়কে অবস্থান নেন রাকসু ও বিভিন্ন হল সংসদের প্রতিনিধিরা। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মিটিং যেমন চলেছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের অবস্থানও আরও জোরদার হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. ইফতিখারুল আলম মাসুদের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরেই ফাইল আটকে রাখা, কাজ বিলম্ব করা এবং ‘অযাচিত আচরণ’-এর অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বিচার না করে বরং তাকে সিন্ডিকেট মিটিংয়ে আমন্ত্রিত সদস্য হিসেবে রাখায় ক্ষুব্ধ প্রতিনিধিরা মাঠে নেমেছেন।
অবস্থানে নেতৃত্ব দেওয়া রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ বলেন, যার বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, তাকে আগে তদন্তের মুখোমুখি না করে কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ একটি মিটিংয়ের সদস্য করা হলো? আমাদের দাবি ছিল তাকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে তার বিভাগে ফেরত পাঠানোর। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলেই আজ আমরা অবস্থানে।
রাকসু জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, রেজিস্ট্রার ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণ দপ্তরের কাজের ধীরগতি শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে নিয়ে গেছে। যে ফাইলের কাজ দুই দিনে হওয়ার কথা, সেটা মাসের পর মাস পড়ে থাকে। লাঞ্চ টাইম শেষে দপ্তরে ঢুকতে ঢুকতে তিনটা বাজে। এমন পরিস্থিতিতে দপ্তরের প্রতিটি সেকেন্ডই যেন অপচয় হচ্ছে।
অবস্থানস্থলে ‘দফা এক দাবি এক—রেজিস্ট্রারের পদত্যাগ’, রক্তের বন্যায় ভেসে যাবে অন্যায়’সহ বিভিন্ন স্লোগানে সড়ক প্রকম্পিত হয়ে ওঠে। কেন্দ্রীয় ও হল সংসদের অর্ধশতাধিক নেতা–প্রতিনিধি রাতভর অবস্থান কর্মসূচিতে যুক্ত থাকেন।
সিন্ডিকেট মিটিং শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
