

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৪-৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকালে নিহত জুবায়েদের ভাই এনায়েত হোসেন সৈকত বাদী হয়ে রাজধানীর বংশাল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পাশাপাশি টিউশন করতেন জুবায়েদ। গত রোববার (১৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি প্রতিদিনের মতো ছাত্রী বর্ষাকে পড়ানোর জন্য পুরান ঢাকার বংশাল থানার ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের নূর বক্স লেনের ১৫ নম্বর হোল্ডিং ‘রৌশান ভিলা’তে যান।
তবে একই দিন সন্ধ্যা ৫টা ৪৮ মিনিটের দিকে বর্ষা জুবায়েদের ছোট ভাই সৈকতকে মেসেঞ্জারে বার্তা পাঠিয়ে জানায়, “জুবায়েদ স্যারকে কেউ হত্যা করেছে।” বার্তাটি পাওয়ার পর বিষয়টি জানানো হয় জুবায়েদের সহপাঠী কামরুল হাসানকে। তিনি রাত আনুমানিক ৭টার দিকে ফোনে বিষয়টি সৈকতকে নিশ্চিত করেন।
এরপর সৈকত তার শ্যালক শরীফ মোহাম্মদকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান।
সৈকতের ভাষ্য অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পৌঁছে তার পরিচিত অ্যাডভোকেট ইশতিয়াক হোসাইন জিপুর সঙ্গে রৌশান ভিলা ভবনে প্রবেশ করেন। তারা সিঁড়ি ও দেয়ালে রক্তের দাগ দেখতে পান। উপরে গিয়ে তৃতীয় তলার পূর্ব পাশের সিঁড়িতে উপুড় হয়ে থাকা জুবায়েদের রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
সুরতহাল প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুবায়েদের গলার ডান পাশে ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল।
স্থানীয়দের কাছ থেকে তথ্য ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে পুলিশ নিশ্চিত হয় যে, এটি একটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বর্ষা, মাহীর ও তাদের সহযোগীরা মিলেই এই হত্যার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে।
ঘটনার প্রায় ৪১ ঘণ্টা পর বংশাল থানা পুলিশ মামলাটি রেকর্ড করে। মামলার বাদী এনায়েত হোসেন সৈকত বলেন, “আমরা পারিবারিকভাবে আলোচনা করেই মামলা করেছি।
মানসিকভাবে ভীষণ বিপর্যস্ত থাকায় মামলা করতে একদিন দেরি হয়েছে। যাদের নাম উল্লেখ করেছি, তারা-ই প্রকৃত অপরাধী।
নিরপরাধ কেউ যেন জড়িত না হয়, সেটিই আমাদের কামনা। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে—এর জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।
তিনি আরও বলেন, “আমরা চাই, আমার ভাই হত্যার ন্যায্য বিচার হোক। যারা এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক।”
মন্তব্য করুন
