

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


২০২৪ সালের জুলাইয়ে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে টানটান পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
রায় প্রত্যাহার ও বিচার প্রক্রিয়া বাতিলের দাবিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত দল আওয়ামী লীগ যে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে, তার প্রভাব সকালে কিছুটা অনুভূত হলেও পরে শহরের স্বাভাবিক চিত্রে ফিরে আসে সড়ক। যদিও অন্যান্য দিনের তুলনায় যানবাহনের সংখ্যা খানিকটা কম। কোথাও নেই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) সকালে ঢাকার বেশ কিছু সড়কে কর্মসূচির প্রভাব থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যান চলাচল বাড়তে থাকে। বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, পল্টন, গুলিস্তানসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় গাড়িগুলোকে মাঝে মধ্যে জটেও আটকে থাকতে দেখা যায়।
চালক ও যাত্রীরা জানান, সাধারণ কর্মদিবসে এই সময় রাজধানীতে ভিড় থাকে। আজ তুলনামূলকভাবে গাড়ির সংখ্যা কিছু কম হলেও চলাচল স্বাভাবিক থাকায় কর্মজীবী মানুষের রুটিনে তেমন কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিয়ে সতর্কতা আর উদ্বেগ ছিল সবার মাঝেই।
একজন ব্যবসায়ী জানান, ‘রাস্তায় গাড়ি ছিল, চলাচলও ঠিক ছিল। কিন্তু পরিস্থিতি কোনদিকে যায় সেটা ভেবে সবাই একটু সতর্কই ছিল। কিছু জায়গায় স্বল্প সময়ের জন্য জটও দেখা গেছে।’
পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখতে বিভিন্ন এলাকায় টহল বাড়ানো হয়েছে। তারা বলছে, সাধারণ মানুষ সতর্ক থাকলে বড় ধরনের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই।
এদিকে রায়কে কেন্দ্র করে হাইকোর্ট, ট্রাইব্যুনাল ও সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ, র্যাব ও সেনাবাহিনীর সমন্বিত টহলে সন্দেহজনক ব্যক্তিদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
