

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শক্তিশালী মার্কিন ডলার এবং সুদের হার সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও কমেছে সোনার মূল্য।
মঙ্গলবার (৪ নভেম্বর) সকালে বৈশ্বিক বাণিজ্য বাজারে প্রতি আউন্স সোনার দাম ৪ হাজার ডলারের নিচে নেমে যায়।
বিশ্লেষকদের মতে, যুক্তরাষ্ট্রে ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা হ্রাস পাওয়ায় এবং ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে বাণিজ্য সম্পর্কের টানাপোড়েন কিছুটা কমে আসায় স্বর্ণে বিনিয়োগের আগ্রহ কমে গেছে।
সর্বশেষ তথ্যমতে, স্পট মার্কেটে সোনার দর ০.৪ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে আউন্সপ্রতি প্রায় ৩,৯৮৪ ডলার, আর যুক্তরাষ্ট্রের ফিউচার মার্কেটে ডিসেম্বর সরবরাহের চুক্তি কমে হয়েছে প্রায় ৩,৯৯৪ ডলার।
বাজার বিশ্লেষক টিম ওয়াটারার বলেন, “বর্তমানে শক্তিশালী ডলার সোনার জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিনিয়োগকারীরা এখন বছরের শেষ দিকে ফেডারেল রিজার্ভ আবারও সুদের হার কমাবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবছেন।”
ফেডারেল রিজার্ভ চলতি বছরে ইতিমধ্যে দুই দফায় সুদের হার কমিয়েছে। তবে চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল জানিয়েছেন, এ বছর আর কোনো হার কমানো নিশ্চিত নয়।
বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা সিএমই’র তথ্যমতে, ডিসেম্বর মাসে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বর্তমানে ৬৫ শতাংশে নেমে এসেছে—যা আগের ৯০ শতাংশের তুলনায় অনেক কম।
সাধারণত সুদের হার কমলে সোনার দাম বাড়ে, কারণ এমন সময়ে বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ সম্পদ হিসেবে সোনার দিকেই ঝোঁকেন।
এদিকে, বিনিয়োগকারীরা এখন মার্কিন শ্রমবাজারের এডিপি কর্মসংস্থান প্রতিবেদন এবং আইএসএম পিএমআই সূচক প্রকাশের অপেক্ষায় আছেন, যা ফেডের পরবর্তী নীতি-নির্ধারণে প্রভাব ফেলতে পারে।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত সোনার দাম বেড়েছে প্রায় ৫৩ শতাংশ, যদিও গত অক্টোবরের সর্বোচ্চ দামের তুলনায় তা বর্তমানে ৮ শতাংশের বেশি কম।
অন্যদিকে, রুপার দাম সামান্য ০.১ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে আউন্সপ্রতি ৪৮ ডলার, প্লাটিনামের দাম ০.৩ শতাংশ কমে প্রায় ১,৫৬১ ডলার এবং প্যালাডিয়ামের মূল্য ১.৬ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১,৪২২ ডলার প্রতি আউন্সে।
মন্তব্য করুন
 
                    