

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় বড় ধরনের অগ্রগতি হয়েছে। ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক আদালতে মামলা করা হয়েছিল ফিলিপিনের রিজল কমার্শিয়াল ব্যাংক (আরসিবিসি) বিরুদ্ধে, যেখানে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
সিআইডি জানিয়েছে, এই অর্থ আদালতের মাধ্যমে বাজেয়াপ্ত করা হয় এবং ২১ সেপ্টেম্বর রোববার সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করার পরিকল্পনা রয়েছে।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের রিজার্ভ থেকে ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। এর মধ্যে একটি ভুয়া বার্তা পাঠিয়ে শ্রীলঙ্কার একটি এনজিওর নামে ২০ মিলিয়ন ডলার সরিয়ে নেওয়া হলেও বানান ভুলের কারণে তা আটকে যায়। তবে বাকি অর্থের একটি বড় অংশ, অর্থাৎ ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার, ফিলিপিন্সের মাকাতি শহরের আরসিবিসি ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখায় ভুয়া তথ্য দিয়ে খোলা অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেওয়া হয়।
এটিকে অত্যন্ত সুক্ষ্ম পরিকল্পনা বলে বিবেচনা করা হয়, যেখানে অল্প সময়ের মধ্যে ওই অর্থ ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয় এবং ফিলরেম মানি রেমিটেন্স কোম্পানির মাধ্যমে ক্যাসিনোতে পৌঁছানো হয়। যদিও কিছু অর্থ উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকি অর্থের কোন হদিস পাওয়া যায়নি।
এরপর, ২০২০ সালে ফিলিপিন্সের ব্যাংকটির বিরুদ্ধে নিউইয়র্কের আদালতে মামলা করে বাংলাদেশ ব্যাংক, যেখানে অর্থ রূপান্তর, চুরি এবং জালিয়াতি সম্পর্কিত বেশ কিছু অভিযোগ আনা হয়।
এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে একটি বড় ঘটনাই বলে মনে হচ্ছে, এবং এই মামলার ফলাফল আন্তর্জাতিক আদালতে অনেক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
 
 
                    