

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০ দশমিক ৮৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) বিপিএম-৬ মানদণ্ডে হিসাব করলে এ অঙ্ক কমে দাঁড়ায় ২৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান।
তিনি জানান, গত রোববার রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৫৯ বিলিয়ন ডলার, যা বিপিএম-৬ পদ্ধতিতে ছিল ২৫ দশমিক ৭৫ বিলিয়ন ডলার। এর আগের সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে নেমে গিয়েছিল। তখন বিপিএম-৬ হিসাব অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্ব মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমপরিমাণ রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। সেই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ এখন প্রায় সীমান্তরেখা অতিক্রম করে কিছুটা ভালো অবস্থায় আছে। প্রবাসী আয়, রপ্তানি আয়, বৈদেশিক ঋণ ও বিনিয়োগ থেকে আসা ডলারই মূলত রিজার্ভের প্রধান উৎস।
অন্যদিকে, আমদানি ব্যয়, ঋণের সুদ, বিদেশি কর্মীদের পারিশ্রমিক, শিক্ষা ও ভ্রমণ খরচসহ নানা খাতে ডলার ব্যয় হওয়ায় রিজার্ভ হ্রাস পায়।
দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ায় বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে স্বস্তি ফিরেছে। ফলে বাংলাদেশ ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করতে হয়নি, উল্টো বাজার থেকে ডলার কিনতে পেরেছে। অথচ ডলার সংকট দেখিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার রিজার্ভের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি।
এর ধারাবাহিকতায় ৪ সেপ্টেম্বর পাঁচটি বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ১৩ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং ২ সেপ্টেম্বর আটটি ব্যাংক থেকে ৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার কিনেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
 সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
    
    সর্বশেষ খবর পেতে  Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
    
মন্তব্য করুন
