

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


শেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ২১টি দেবদারু গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনার ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিবেশবাদী বিভিন্ন সংগঠন ও সচেতন নাগরিকরা।
অনেকেই বলছেন, কৌশলে ইচ্ছাকৃতভাবে গাছগুলো কেটে ফেলেছেন ওই প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় বুধবার (২৬ নভেম্বর) জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের কার্যালয়ে প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন, প্রযুক্তির সম্প্রসারণ, নিরাপদ খাদ্য উৎপাদন সম্পর্কে জনগণের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে জাতীয় প্রাণিসম্পদ সপ্তাহ পালন হবে। উদযাপন উপলক্ষে কার্যালয়ের ভেতরে ভেতরে প্যান্ডেল করা হবে। কিন্তু প্যান্ডেল করতে জায়গা না হওয়ায় কার্যালয়ের ভেতরে থাকা ২১টি দেবদারু গাছ রোববার কেটে ফেলা হয়েছে। তবে, এ ঘটনার ছবিগুলো মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবেশবাদী সংগঠন শাইন এর নির্বাহী পরিচালক ও শেরপুর বার্ড ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুগনিউর রহমান মনি বলেন, গাছ তো গাছই, চারা গাছ বা বড় গাছ, কাঠ গাছ অথবা অলংকরণ গাছ যেটা পরিবেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই গাছগুলো থেকে আমরা অক্সিজেন পাই। গাছ কাটা সহজ, কিন্তু লাগানো কঠিন। এই গাছগুলো কাটা অবশ্যই অন্যায় হয়েছে। তিনি এসব গাছ কাটতে পারেন না। তিনি গাছ কাটবেন কেনো, প্রয়োজনে তিনি আরও গাছ লাগাবেন।
অভিযুক্ত জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এবিএম আব্দুর রউফ বলেন, আসলে গাছগুলো কোন কাঠের গাছ নয়; সৌন্দর্য বর্ধনের অলংকরণ গাছ। এগুলোর আগাছা পরিষ্কার করতে গিয়ে হয়তোবা অনিচ্ছাকৃতভাবে কেটে ফেলেছে। তবে, আমাদের প্রাণী সম্পদ সপ্তাহ শেষ হলে আবারও সেখান গাছ লাগানো হবে।
ময়মনসিংহ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির বলেন, প্রাণিসম্পদ বিভাগের গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নাই, তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারছিনা।
মন্তব্য করুন