

সম্পাদকঃ মোঃ আল হাদী
৪১৬ তোপখানা রোড, শিশু কল্যাণ পরিষদ, ঢাকা, বাংলাদেশ
টেলিফোনঃ +৮৮(০২) ৫৮৩১২৯৫৮, ৫৮৩১২৮২২ফেক্সঃ ৫৮৩১২৯৮১[email protected]


পটুয়াখালীতে হাত ও পায়ের রগ কেটে গুরুতর আহত মো. সরোয়ার হাওলাদার (৪০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) ভোরে বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ইটবাড়িয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। সরোয়ার স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোহাম্মদ গণি হাওলাদারের ছেলে।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরোয়ার এলাকায় মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ নিয়ে তাঁর সঙ্গে স্থানীয় কয়েকজনের বিরোধ চলছিল।
গতকাল সন্ধ্যায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁকে ধাওয়া করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলাকারীরা তাঁর হাত–পায়ের রগ কেটে দেয়।
ঘটনার সময় ইটবাড়িয়া ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোস্তফিজুর রহমান মুসা খান নিকটস্থ একটি চায়ের দোকানে ছিলেন।
তিনি বলেন, ‘চিৎকারের শব্দ শুনে দৌড়ে যাই। গিয়ে দেখি সরোয়ার মাটিতে পড়ে আছে, প্রচণ্ড রক্তক্ষরণ হচ্ছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।’
স্থানীয় পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাঁকে বরিশালে পাঠান। রাতেই সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঘটনার সময় সরোয়ার আশ্রয়ের জন্য দৌড়ে ইউনুস সিকদারের ঘরে যাওয়ার চেষ্টা করেন বলে জানান ওই বাড়ির কর্তা ইউনুস সিকদার। তিনি বলেন, ‘৭-৮ জন লোক সরোয়ারকে ধাওয়া করে। ঘরে ওঠার আগেই তাঁরা কুপিয়ে আহত করে। হামলায় কয়েকজন নারীও ছিল। পরে চিৎকারে মানুষ এসে তাঁকে উদ্ধার করে।’
এ ঘটনায় একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে তোলা সরোয়ার সেখানে বলেন, ‘গুটি ফারুক, ইউনুস, সবুজ আর জাহাঙ্গীর আমাকে কুপাইছে…।’ এরপর তিনি আর কিছু বলতে পারেননি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইমতিয়াজ আহম্মেদ বলেন, ‘মাদকসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হামলা হয়ে থাকতে পারে। মৃত্যুর আগে সরোয়ারের দেওয়া ভিডিও বক্তব্য ও পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।’
মন্তব্য করুন